Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৭ তলা থেকে পড়ছে লাখ লাখ টাকার বান্ডিল, কুড়াচ্ছে মানুষ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৯ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার আকাশ থেকে অস্ত্র বৃষ্টি বেশ আলোড়ন ফেলেছিল দেশটিতে। হঠাৎ আকাশ থেকে নিচে ডজনে ডজনে আগ্নেয়াস্ত্র পড়ায় মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। তবে বুধবার কলকাতায় যা হলো, তাতে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা তো দূর বরং অনেকেই পকেট ভারী করে বাড়ি ফিরলেন। খবর আনন্দবাজার।

গণমাধ্যমটির খবরে বলা হচ্ছে, বুধবার ভরদুপুরে ব্যস্ত রাস্তার ধারে বহুতল একটি ভবনের ওপর থেকে নিচে পড়ছে কাড়ি কাড়ি টাকার বান্ডিল। এমন দৃশ্য দেখে পথচলতি মানুষের মাঝে হুলস্থুল পড়ে গেল মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ২৭ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এম কে পয়েন্ট নামে একটি বহুতল ভবন থেকে আচমকাই টাকার বান্ডিল পড়তে শুরু করে। কয়েকজনের নজরে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই বহুতল ভবনটির নিচে অনেকেই জড়ো হন টাকা কুড়ানোর জন্য।

সাত তলার ওপরের একটি জানালা থেকে ওই টাকা ফেলতেও দেখা যায় একজনকে। নিচে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কয়েকজন সেই টাকা কুড়িয়েছেন বলে আশপাশের দোকানদাররা জানিয়েছেন।

ভবনের উল্টোদিকের চায়ের দোকানদার রমেশ মাহাতো বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখি দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাকাতেই দেখি ওপর থেকে টাকা পড়ছে। বেশির ভাগ টাকাই বিল্ডিংয়ের পার্কিং এলাকায় পড়েছে। সেই টাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কুড়িয়ে নিয়েছেন। রাস্তাতেও পড়েছে। অনেকে কুড়িয়ে নিয়েছেন। ওপরে এক ব্যক্তি যে জানালা দিয়ে টাকা ফেলছে, সেটাও দেখেছি আমরা। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ এসে কয়েকজনের কাছ থেকে অল্প কিছু টাকা উদ্ধার করেছে।’

ওই ভবন লাগোয়া ফল বিক্রেতা ত্রিবেণী পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ দেখি, আমার দোকান থেকে কিছুটা দূরে একটা ৫০০ টাকার নোট পড়ল। একটা ছেলে কুড়িয়ে নিল। ওপরের দিকে তাকাতেই দেখি, আমার দোকানের পাশেই একটা গাছে ৫০০ টাকার নোটের একটা বান্ডিল আটকে রয়েছে। সেটা থেকেই খুলে খুলে পড়ছিল। তবে কার টাকা, কোথা থেকে এল, সে সব বলতে পারব না।’

কিন্তু কেন টাকা ফেলা হচ্ছিল? কারাই বা ফেললেন টাকা? খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানতে পেরেছে, ওই বহুতল ভবনটিতে দেশটির কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের (ডিআরআই) গোয়েন্দারা হানা দিয়েছিলেন।

সাত তলার ৬০১ নম্বর ঘরে হক মার্কেন্টাইল নামে একটি সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই অফিসে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা হানা দিলে শৌচাগারের জানালা থেকে কে বা কারা টাকার বান্ডিল ফেলে দিয়েছেন। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে।

Bootstrap Image Preview