Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লিভ-টুগেদার করা ‘নারীরা’ রক্ষিতার মতোঃ রাজস্থান মানবাধিকার কমিশন প্রধান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:০৮ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:০৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


লিভ-টুগেদার-করা-নারীরা-রক্ষিতার-মতো বলে মন্তব্য করল রাজস্থান মানবাধিকার কমিশন। আর তাই লিভ ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করতে রাজস্থান সরকারকে আইন প্রনয়ণ করার আর্জি জানিয়েছে তারা। আর্জি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও।

বুধবার রাজস্থানের মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়, যে সব মহিলারা লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন, তাঁরারক্ষিতার-মতো। তাঁদের ব্যক্তিগত অধিকার বোধ বলে কিছু কিছু থাকে না। তাই সরকারের উচিত লিভ ইন সম্পর্ককেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। তবেই সমাজে মহিলারা সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারবেন বলে দাবি করেন মানবাধিকার কমিশনের প্রধান।

বিচারপতি প্রকাশ তাঁতিয়া ও বিচারপতি মহেশ চন্দ্রর নেতৃত্বাধীন এই মানবাধিকার কমিশনের তরফে এই মর্মে একটি আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে মুখ্য সচিব ও সহ সচিবের কাছে।

এই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, রাজস্থান সরকার যাতে অবিলম্বে এই বিষয়ে আইন প্রনয়ণ করে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের কাছে একটা আবেদনপত্র পাঠিয়ে কেন্দ্রকেও এই নিয়ম প্রনয়ণের ব্যাপারে আবেদন করেছেন তাঁরা।

কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, লিভ ইন সম্পর্কে মহিলাদের সম্মান বিসর্জন দিতে হয়। এমনকী পুলিশ ও সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের কাছে তাদের আবেদন, যে সব মহিলারা লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন তাঁদের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া উচিত।

কমিশনের তরফে আরও বলা হয়েছে, এই সব মহিলারা নিজেদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন। তাঁরা অনেকটা রক্ষিতার মতোই থাকেন। তাই সরকার ও প্রশাসনের উচিত তাঁদের সাহায্য করা।

এমনকী বিভিন্ন সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে, তারা যেন বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রকে এই বিষয়ে পাশে থাকার আবেদন জানিয়ে মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজস্থান নয়, গোটা দেশেই এই আইন বলবত করা উচিত।

রাজস্থান মানবাধিকার কমিশনের এই বক্তব্যের পর থেকে অবশ্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবার বক্তব্য, যাঁদের কাজ মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করা, তাঁরাই মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে মানবাধিকার কমিশনে থাকলেও তাঁদের মানসিকতা কতটা নিচু। এরাই আসলে সমাজের লজ্জা বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

Bootstrap Image Preview