Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামীকে হত্যার পর পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাওয়ালেন স্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৩ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বছরের পর বছর ধরে স্ত্রীকে নিপীড়ন করে আসছিলেন স্বামী। দীর্ঘদিনের এই নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাইয়েছেন তিনি। 

রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের ওবারিভ গ্রামে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কুপিয়ে শিরশ্ছেদের পর তার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খাইয়েছেন মারিয়া নামের এক নারী।

৪৮ বছর বয়সী ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সহিংসতা সহ্য করে এসেছেন। নির্যাতনের অবসানের জন্য স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল স্বামীকে হত্যা করা।

ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, মারিয়ার স্বামীর নাম ওলেকসান্দার (৪৯)। গত ২৩ আগস্ট রাতের ডিউটি পালন শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।

স্বামী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সময় শূন্য হাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মারিয়া। পরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্বামীর শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।

এ ঘটনার পর রান্নাঘরে থেকে ছুরি এনে ওলেকসান্দার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খেতে দেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, পরে ওই নারী তার স্বামীর মরদেহ টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন; কিন্তু ব্যর্থ হন।

স্বামীকে হত্যার পর রক্তাক্ত শরীরে বাড়ির বাইরের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মারিয়া। এ সময় নাদেজদা ওপানাসিক নামে এক প্রতিবেশী তাকে রক্তাক্ত দেখতে পান। স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওপানাসিক বলেন, ‘মারিয়ার হাত, পা এবং কাপড়ে রক্ত লেগে ছিল। তিনি আমাকে বলেন, আমি সমস্যায় পড়েছি। আমার স্বামীকে খুন করেছি।

ওপানাসিক বলেন, ‘আমি মারিয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি মনে করেছিলাম, সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে এবং স্বামীকে মারপিট করেছে। মারিয়ার স্বামী ওলেকসান্দার কোনো মেডিকেল সহায়তা দরকার কিনা সেটি দেখার জন্য আমি তাদের বাড়ি যাই।

‘আমি ঘরে ঢুকে তার খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। বিছানার চাদরে রক্তের দাগ। আমি তার কাছে জানতে চাই, ওলেকসান্দার মাথা কোথায়? মারিয়া জানায়, বস্তার ভেতর।

প্রতিবেশী এই নারী বলেন, তিনি ওই সময় অসুস্থবোধ করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে এ ঘটনার কথা জানান। পরে অন্য প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে মারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এই নারী।

প্রতিবেশীরা বলেছেন, প্রায়ই মারিয়াকে তার স্বামী মারধর করতেন। অনেক সময় স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য কুড়াল নিয়ে তাড়া করতেন ওলেকসান্দার।

ইউক্রেন পুলিশের মুখপাত্র ভাদিম আর্তিখোভিচ বলেন, সন্দেহভাজন নারী ঘটনাস্থলেই তার স্বামীকে হত্যা কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশি জিম্মায়।

এ ঘটনায় তদন্ত চলমান। দোষী সাব্যস্ত হলে মারিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

Bootstrap Image Preview