ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমনিতেই বেশ চাপে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মধ্যেই এমপি ও মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তার ছোট জো জনসন। গতকাল এক টুইট বার্তায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার কারণ হিসেবে জো বলেন, ‘পারিবারিক বিশ্বস্ততা এবং দেশের স্বার্থের টানাপড়েনে’ তার অসুবিধা হচ্ছিল।
জো বলেন, গত নয়বছর ধরে ওরপিংটনের প্রতিনিধিত্ব করে নিজেকে খুবই গর্বিত মনে করছি। তিনজন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মন্ত্রিত্ব সামলেছি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে পারিবারিক বিশ্বস্ততা এবং জাতীয় স্বার্থের সংঘাতে আমি বিপর্যস্ত। যার সমাধান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই আমার পরিবর্তে অন্য কেউ মন্ত্রী ও এমপি হোন।
পরে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধারে রাজনৈতিক নেতা এবং ভাই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন, জো’র পক্ষে এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। ওরপিংটনের মানুষ জানেন, জো’র মতো যোগ্য প্রতিনিধি পাওয়া কঠিন।
এদিকে মন্ত্রিসভা থেকে জো সরে যাওয়ায় বরিসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লো বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। কারণ যেকোনোভাবেই ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের ব্যাপারে নিজের অনড় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন বরিস। এমনকি এই প্রশ্নে বিরোধিতার কারণে ইতোমধ্যে ২১ জন এমপিকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। এর আগে হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটি হেরে যান। তাই জো’র পদত্যাগকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কাই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জো প্রথম থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ২০১৬ সালের গণভোটে তার ভাই বরিস ছিলেন বিপরীত মেরুতে। জো অবশ্য গত বছরও থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান তার ব্রেক্সিট চুক্তি পছন্দ না হওয়ায়। কিন্তু বরিস প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফের তাকে মন্ত্রিসভায় ফেরান।