রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে তদন্তের পর দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেনা সদস্যদের সামরিক আদালতে বিচার (কোর্ট মার্শাল) করা হবে। এই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর একটি আদালত সম্প্রতি উত্তর রাখাইন ঘুরে এসেছে। সেখানে কিছু ঘটনায় সেনা সদস্যরা নির্দেশ পালনে দুর্বলতা দেখিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কথিত ওই আদালত উত্তর রাখাইনের যে গ্রামটিতে গিয়েছিল সেটি রোহিঙ্গা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। বুথিডং এলাকার গুতারপিন নামের ওই গ্রামটিতে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে বার্তা সংস্থা এপি ওই গণকবরগুলোর সন্ধান পেয়েছিল।
রাখাইনে সম্ভাব্য গণহত্যার ব্যাপারে তদন্ত করতে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আদালত গঠন করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। একজন মেজর জেনারেল ও দুই জন কর্নেলের সমন্বয়ে গঠিত এই আদালত গত মার্চে কাজ শুরু করে। গত জুলাই মাসে একবার ও সর্বশেষ আগস্টে রাখাই পরিদর্শন করেছে এ আদালত।