বাঁশির সুরে বেশি দুধ দেয় গরু। অসমের শিলচরে এমন দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। তাঁর দাবি, ভগবান কৃষ্ণ যেভাবে বাঁশি বাজাতেন, তেমনটা হলে কয়েক গুণ বেশি দুধ দেয় গরু।
শিলচরে একটি অনুষ্ঠানের সূচনায় দিলীপবাবু বললেন, ‘শ্রী কৃষ্ণের মতো বিশেষ সুরে বাঁশি বাজালে, কয়েক গুণ বেশি দুধ দেয় গরু। এটা পুরনো বিজ্ঞান। সেটাই বর্তমানে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
কীভাবে এটা সম্ভব?
দিলীপবাবুর ব্যাখ্যা, ‘আমি বিজ্ঞানী নই। কিন্তু প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে পড়াশুনো করেছি। আর বুঝেছি, এটা সম্ভব। বিজ্ঞানীরাও এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।’
তাঁর বক্তব্য নিয়ে হইচই হওয়ার পরও নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপির বিধায়ক। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের দিলীপবাবু বলেন, ‘নাচ-গানের ইতিবাচক প্রভাবের কথা দর্শকদের জানিয়েছিলাম। এটা তো বিজ্ঞানসম্মত, বাঁশির আওয়াজ শুনলে বেশি দুধ দেয় গরু।’
এনিয়ে কি গবেষণা করেছেন?
দিলীপের জবাব, বাঁশির সুরের সঙ্গে গরুর দুধের সম্পর্ক নিয়ে গুজরাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কয়েক বছর আগে গবেষণা করেছে।
কৃষ্ণের বাঁশির সুরে গরু বেশি দুধ দেয় কিনা, সে নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মনোবিদের ২০০১ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ধীরে ও হালকা সুর শুনলে ৩ শতাংশ বেশি দুধ দেয় গরু। ‘Everybody Hurts’ ও ‘Bridge Over Troubled Water’-এর মতো গান স্বস্তি দেয় গরুকে। বাড়ে দুধ উৎপাদন। মার্কিন পশুচিকিত্সক ও বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যানা ওব্রায়ানের মতে, সঙ্গীত, সুর গরুর দুধের উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।
২০১৪ সালে শিলচর বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছিলেন দিলীপকুমার পাল। তার ১৭ মাস পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের স্ত্রী বিথিকা দেবকে হারিয়ে ভোটে জেতেন। রেকর্ড ৩৭০০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন দিলীপবাবু। পরে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন। বাঙালি বিধায়ক হিসেবে অসমে এমন কৃতিত্ব আর কারও নেই। ২০১৮ সালের মে মাসে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন।