Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রুহানির সঙ্গে জন্য প্রস্তুত ট্রাম্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪০ PM
আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪০ PM

bdmorning Image Preview


কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার জি৭ বৈঠকে তিনি এমন দাবি করেন।

এতে দেশ দুটির মধ্যে ধূমায়িত অচলাবস্থার মোড় বিস্ময়করভাবে পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। ম্যাঁক্রোন বলেন, মার্কিন ও ইরানি প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠককে তিনি সহজ করে দিয়েছেন।

ম্যাঁক্রোনের আমন্ত্রণে রবিবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের বিয়ারিটসে এ সম্মেলনের ফাঁকে অনির্ধারিত ও নাটকীয় উপস্থিতির পর এমন ঘোষণা এসেছে।

৪১ বছর বয়সী এ ফরাসি নেতা বলেন, ব্যাপক কূটনীতি ও পরামর্শের মাধ্যমে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাসান রুহানি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।

যদি পরিস্থিতি নির্ভুল হয়, তবে নিশ্চিতভাবে তাতে আমি একমত বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট যে সময়সূচি ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাস্তবিক।

পাশাপাশি ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী যে, রুহানিও বৈঠকের অনুকূলে থাকবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি তিনি (রুহানি) বসতে চাচ্ছেন। ইরান পরিস্থিতিকে সহজ করতে চাচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দুই প্রেসিডেন্টই নিউইয়র্কে থাকবেন। সেখানেই তাদের বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।

ইরানের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সমালোচকরা বলছেন, এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর ট্রাম্প সরে আসার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার ধারণাটি রুহানিও গ্রহণ করেছেন। সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জারিফের বিয়ারিটস সফর নিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থে আমরা যেকোনো উপায় কাজে লাগাতে পারি।

ইরানকে কিছুটা ছাড় দিতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাঁক্রোন। বিশেষ করে চীন ও ভারতের কাছে তেল বিক্রিতে এ সুবিধা চেয়েছেন তিনি। এতে ইরানের রফতানিতে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা তৈরি হবে।

বিনিময়ে ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফিরে যাবে। জি৭ সম্মেলনে ইরান বিষয়ে মন্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যাতে আলোচনাকে স্বাগত জানানো যায়।

Bootstrap Image Preview