পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার লক্ষ্যে ইরানের পক্ষ থেকে ইউরোপকে দেয়া চূড়ান্ত সময়সীমা গতরাতে শেষ হয়েছে। আজ (রবিবার) তেহরান এ সমঝোতায় নিজের দেয়া আরো কিছু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে অন্যায়ভাবে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার এক বছরপূর্তিতে ইরান ঘোষণা করে, বিগত এক বছরে ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতাকে বাঁচিয়ে রাখতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
এ অবস্থায় তেহরান ইউরোপকে ৬০ দিনের সময় দিয়ে ঘোষণা করে, এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে পরমাণু সমঝোতায় ইরানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে; বিশেষ করে ইরানের তেল রপ্তানি ও বৈদেশিক লেনদেন অবাধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে তেহরান এ সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুসরণ করে এটির কিছু কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইরান এরইমধ্যে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ পরমাণু সমঝোতার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি বাড়িয়েছে এবং ঘোষণা দিয়েছে আজ (রোববার) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়া হবে। পরমাণু সমঝোতায় ইরানকে সর্বোচ্চ ৩.৬৭ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমারেখা বেধে দেয়া হয়েছে এবং গত চার বছর ইরান তা পালন করে এসেছে যদিও ওই সমঝোতা হওয়ার আগে ইরান শতকরা ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করত।
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি বলেছেন, ৭ জুলাইর আল্টিমেটাম শেষ হলে ইরান যতটা প্রয়োজন তত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। এ ছাড়া, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবার বেলায়েতি দু’দিন আগে বলেছেন, তার দেশ হয়তো ৫ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে।