নিজেদের মনেরভাব আদান-প্রদানের জন্য পশু-পাখিরাও ব্যবহার করে আলাদা ধ্বনি বা শব্দ। কোনো প্রাণী ব্যবহার করে সুরেলা শব্দ আবার কোনো প্রাণীর শব্দ কর্কশ। মানুষ অনেক পশু-পাখিকে নিজেদের বশে আনতে পারলেও এখনো বশে আনতে পারেনি তাদের উচ্চারিত শব্দকে। মনেরভাব বুঝাতে তারা যেসব শব্দ করে থাকে সেগুলো আজও রয়ে গেছে মানব সম্প্রদায়ের কাছে দুর্বোধ্যই। তবে সেই দুর্বোধ্য শব্দগুলো যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে কেমন হতে পারে?
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে শিস দিয়ে পাখির মতো করে কথা বলার ভাষা শিক্ষা কোর্স।
তবে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে এভাবে শিস দিয়ে কথা বলার ভাষা চালু আছে। তুরস্কের জিরেসান ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম ফ্যাকাল্টিতে চালু হচ্ছে এ ভাষা শিক্ষা কোর্সটিই।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গবেষক এ ফ্যাকাল্টির শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কোর্স চালু করতে আরও তিন বছর লাগতে পারে।
এ ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক মুসা জেঙ্ক সাংবাদিকদের বলেন, আদিবাসীদের ওই সাংকেতিক ভাষাটি নিয়ে ১৯৫৬ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে আসছেন। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ওই সাংকেতিক ভাষাকে বিশ্ব সাংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।