Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘শরীর দেখানো’ পোশাক পরে ঢোকা যাবে না ইমামবড়ায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৪:০৬ PM
আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৪:০৬ PM

bdmorning Image Preview


এবার ইমামবড়া মসজিদে খোলামেলা পোশাক পরে প্রবেশ করা যাবে না বলে এক কঠোর ‘ফতোয়া’ জারি করলেন ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরের জেলা শাসক। এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, মিনি স্কার্ট বা খোলামেলা টপ বা শরীর দেখা যায় এমন পোশাক পরে মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌর অন্যতম দর্শনীয় স্থান বড় ইমামবড়া ও ছোট ইমামবড়া। কিন্তু এই দুই দর্শনীয় স্থানেই এখন থেকে আর খোলামেলা পোশাক পরে ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। সম্প্রতি শিয়া সম্প্রদায়ের মৌলভীদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় জেলা প্রশাসনের। ওই বৈঠকের পরেই জেলাশাসক কুশলরাজ শর্মা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন, ‘ঐতিহাসিক এই ভবনে শর্ট স্কার্ট বা শরীর দেখা যায়, এমন কোনো পোশাক পরে ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। শরীর ঢাকা থাকবে, এমন পোশাক পরেই ভেতরে ঢুকতে হবে দর্শণার্থীদের।’

জেলা প্রশাসনের ব্যাখ্যা, প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদের পবিত্রতার কথা মাথায় রেখেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি।

নিরাপত্তা রক্ষী এবং গাইডদেরও এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীরা ঢোকার সময় তাদের পোশাকের ওপর কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে, এমন দৃষ্টিকটু পোশাক পরে কেউ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারেন, তা কঠোরভাবে মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

কিন্তু কেন এই ফতোয়া?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্ণৌয়ের শিয়া মৌলভী, ঐতিহাসিক ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে এ বিষয়ে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে একটি পোশাক বিধি চালুর দাবি করা হয়।

তাদের বক্তব্য ছিল, অমৃতসরে স্বর্ণমন্দিরে ঢোকার সময় যেমন মাথা ঢেকে যেতে হয়, তেমনই এই ইমামবড়া মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সেই রকম পোশাক বিধি কার্যকরী করা হোক। সেই চিঠির ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। যদিও এভাবে পোশাক নির্দিষ্ট করে চাপিয়ে দিলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমার আশঙ্কাও করেছেন অনেক বিশ্লেষকরা।

১৭৮৪ সালে তৎকালীন অওধের নবাব আসাদ-উদ-দৌলা লক্ষ্ণৌর বড় ইমামবড়া বা আসফি মসজিদ ভবন তৈরি করেন। সুবিশাল এই ঐতিহাসিক ভবনে রয়েছে আসফি মসজিদ, ভুল ভুলাইয়া, বাউলি অর্থাৎ স্রোতস্বিনী কুয়োর মতো দর্শনীয় স্থান। অন্য দিকে লক্ষ্ণৌর ছোট ইমামবড়া বা ‘ইমামবড়া হুসেনাবাদ মুবারক’ তৈরি হয়েছিল ১৮৩৮ সালে তৎকালীন অওধের নবাব মুহম্মদ আলি শাহ’র শাসনকালে। সমাধিস্থল হিসেবে তৈরি হয়েছিল এই ছোট ইমামবড়া। রয়েছে মুহম্মদ আলি শাহ ও তার মায়ের সমাধি।

Bootstrap Image Preview