প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই যুগের প্রাচীন কদম গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের বর্ধমানের গুসকরা পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশাল এই কদমগাছটি ছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের খেলার সঙ্গী।
বিশাল সেই গাছে বাসা বেঁধেছে পাখির দল। গাছ থকে পড়া পাতা অথবা ফুল তাদের খেলনা। গাছতলাকে কেন্দ্র করে তারা ছুটত।
ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়, সরকারি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে কাটা পড়তে চলেছে শিক্ষার্থীদের প্রিয় কদম গাছটি। তখন থেকেই গাছ আঁকড়ে হাউহাউ করে কেঁদেই চলেছে তারা।
তাদের দাবি, এই গাছ কিছুতেই কাটতে দেবে না তারা। আর খুদে পড়ুয়াদের এই আবদারে কার্যত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ১-এর সরকারি কর্মকর্তা চিত্তজিত বসু।
জানা গেছে, গুসকরা শহরে আউশগ্রাম ১ বিডিও অফিসের পাশেই পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রশাসনিক ভবনটিতে এ যাবৎ সীমানা প্রাচীর ছিল না। অফিস চত্বরের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসন সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রশাসনের কাছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা আবেদনপত্র দিয়েছে, গাছটি না কাটতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয় গুসকরা পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিডিও অফিসের দক্ষিণ দিকে স্কুলটি। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আপাতত ২১১ জন। স্কুল চত্ত্বরে জায়গা কম থাকায় গাছপালাও তেমন নেই। শুধু কদম গাছটি রয়েছে।
আউশগ্রাম ১ বিডিও চিত্তজিত বসু বলেন, ‘অফিসের নিরাপত্তাজনিত কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাঁচিল তৈরি করতে গেলে গাছটি কাটা পড়বে।
স্কুলকে বলেছি, তার পরিবর্তে স্কুলে কিছু গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদেরও বোঝানোর চেষ্টা করছি।’ স্কুলের শিক্ষক বিমল মণ্ডলের কথায়, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’