Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘুমিয়ে পড়ায় বিমানের ভেতরেই আটকে রেখে গেলেন যাত্রীকে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৯, ০৭:৫৮ PM
আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ০৮:০২ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


অনেকেই হয়তো যাত্রাপথে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু কখনো যাত্রা পথে ঘুমিয়ে পড়ার পর ঘুম ভেঙে কি দেখেছেন আপনাকে রেখেই তালাবদ্ধ করে চলে গেছে গাড়ির সবাই? গাড়ির ভেতরে একা একা আটকে থাকার কথা ভাবতেই যেখানে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সেখানে আটকে যাওয়া স্থানটা যদি হয় কোনো বড়সড় যাত্রীবাহী বিমান তাহলে তো আর কিছু বলার অপেক্ষাই রাখে না।

সম্প্রতি এরকমই একটি অভিজ্ঞতার মুখোমূখি হয়েছিলেন টিফানি অ্যাডামস নামে এক নারী। তিনি গত ৯ জুন এয়ার কানাডার একটি বিমানে কিউবেক থেকে টরোন্টোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রা পথে একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তার ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পান চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার আশেপাশেও কেউ নেই। সদ্য ঘুম থেকে ওঠায় ঘোর কাটিয়ে উঠে বিষয়টা বুঝতে কিছুটা সময় লাগে তার। এ সময় চারদিকের শুনশান নিরবতায় কিছুটা ভয় পেয়ে যান তিনি।

তিনি বুঝতে পারেন বিমানটি অবতরণের পর এর ক্রু ও বিমানবন্দরের কর্মীরা সব ধরনের কার্যক্রম শেষ করে ফেলেছেন। ঘুমন্ত অবস্থায় বিমানের ভেতর তাকে আটকে রেখেই সবকিছু বন্ধ করে চলে গেছেন।

এ অবস্থায় কোনো রকমে মোবাইলটি খুঁজে বের করে তার এক বান্ধবীকে বিষয়টি জানান তিনি। কিন্তু কথা শেষ করার পর পরই চার্জ শেষ হয়ে যায় তার মোবাইলের। এ পরিস্থিতিতে তিনি কিছুক্ষণের জন্য হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।

পরে হাতড়ে হাতড়ে বিমানের ককপিটে পৌঁছুলে একটি টর্চ খুঁজে পান। এ সময় টর্চের আলো দিয়ে বাইরে সংকেত দেয়ার চেষ্টা করলে যাত্রীদের মালামাল বহনের এক গাড়ির চালক তা দেখে ভয় পেয়ে যান।

পরে তার বান্ধবী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে টিফানি লিখেছেন, ঘুম থেকে উঠে দেখি তখনও শরীরের সঙ্গে সিটবেল্ট বাঁধা। কিন্তু যাত্রা শেষ হওয়ার পর বিমান ত্যাগ করার আগে পুরো বিমানের সকল অংশ ভালো করে দেখে তবেই বিমানের কর্মীদের বের হওয়ার কথা।

এছাড়াও টিফানি আরও লিখেছেন, বিমানটি টরোন্টো পেয়ারসন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর কয়েক ঘণ্টা ঘুমন্ত অবস্থায় বিমানে ছিলাম। সেটি রানওয়েতে পার্ক করা ছিল। রীতিমতো ভীতিকর রোমাঞ্চ। এ সময় হাতড়ে ফোন বের করে বান্ধবী ডেনা ডেলকে বিষয়টি জানানোর পর পরই ফোনটিও বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়াও এ ঘটনার পর থেকে প্রায়ই রাতে ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখেন বলে জানিয়েছেন টিফানি।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এয়ার কানাডা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। ঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে শাস্তির আওতায়ও আনা হবে। এছাড়াও তারা এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

Bootstrap Image Preview