ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখন সবে মাত্র শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। এরই মধ্যে বাজারে পাওয়া যেতে শুরু করেছে নানা ধরণের দেশীয় রসালো ফল। আম, জাম, কাঁঠালের সাথে সাথে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সকলেরই অন্যতম পছন্দের একটি ফল লিচু। রসালো এই ফলটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছেই সমানভাবে জনপ্রিয়।
কিন্তু মধুমাসের এ ফলটি মুখে দেয়ার পর যদি মনে হয় ফলটি অপরিপক্ব বা টক তবে আর মন ভালো থাকে কি করে! অনেক কষ্টে আয় করা টাকায় যদি পছন্দের ফলটি কিনে এনে প্রিয়জনের মুখে এক চিলতে হাসিই ফোটানো না যায় তবে কষ্টের আর সীমা থাকে না। তাই মৌসুমি এই রসালো ফলটি কিনতে সতর্ক থাকার পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই কম-বেশি লিচুর ফলন হয়ে থাকে। কিন্তু উন্নত মানের লিচু উৎপাদনের দিক থেকে বরাবরই দেশের দিনাজপুর, রাজশাহী অঞ্চলই এগিয়ে থাকে।
অপরদিকে, বাজারে আসার পর বিভিন্ন এলাকার লিচু এক সঙ্গে মিলে যায়। এছাড়াও দূরবর্তী অঞ্চল থেকে ঢাকাসহ অনান্য বাজারে পাঠানোর জন্য অনেকে লিচুতে ফরমালিনও দিয়ে থাকেন। তাই অনেক সময় লিচু খেতে টক লাগে।
এছাড়াও অনেক সময় পাকার আগেই গাছ থেকে পেড়ে ফেলা হয় লিচু। এই লিচু টকটকে লাল দেখাতে ও দীর্ঘদিন তাজা রাখতে মেশানো হয় লাল কেমিক্যাল।
তাই টকটকে লাল লিচু দেখে অনেক ক্রেতা মনে করতে পারেন এটি ভালো মানের লিচু। কিন্তু এই লাল কেমিক্যাল ক্যান্সারেরও অন্যতম কারণ। ফলে লিচু কেনার সময় মিষ্টি ও ভালো লিচু দেখে কিনতে হবে এবং সে সাথে থাকতে হবে সতর্ক।
সহজেই লিচুর ক্যামিক্যাল শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া:
চিকিৎসকর ও বিশেষজ্ঞরা লিচুতে ক্যামিক্যাল আছে কিনা তা সহজেই পরীক্ষা করার বিষয়ে বলেছেন, বাজার থেকে লিচু কিনে আনার পর একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। যদি দেখেন হাতে রং লাগছে বা লিচুর লাল রং ফ্যাকাশে হয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই লিচু পাকা নয় এবং শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর।
কিন্তু যদি দেখেন পানিতে ভিজানোর পরও রং একইরকম আছে তাহলে তা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তবে গাঢ় লাল রঙের লিচু না কেনাটাই ভালো।