অনেকেই ধারণা করেন, ওইঝ অথবা ওইউ-তে আক্রান্ত রোগীদের রোজা না রাখাই ভালো। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। ওইঝ অথবা ওইউ-তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নির্দ্বিধায় রোজা রাখতে পারেন। ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রোজা রাখতে পারেন।
তবে শারীরিক সমস্যা জটিল আকার ধারণ করলে রোজা না রাখাই ভালো। যারা তীব্র মাত্রার পেপটিক আলসারে ভুগছেন, তাদের রোজা না রাখাই ভালো। রোগ হিলিং স্টেজে থাকলে উপযুক্ত ওষুধ গ্রহণ করে রোজা রাখা সম্ভব।
সেহরি বা ইফতারে কৃমির ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। অনেকে মনে করেন, কৃমির ওষুধ খেয়ে সারাদিন খালি পেটে থাকাটা ক্ষতিকর। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ডিজলিপিডেমিয়ার রোগী বা যাদের কোলেস্টেরল বেশি থাকে, রোজা রাখা তাদের শরীরের জন্য উপকারী।
যাদের কার্ডিয়াক সমস্যা থাকে, তারা রোজা রাখতে পারেন। তবে এ সমস্যা যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে, সে ক্ষেত্রে রোজা না রাখাই ভালো। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন।
একটা কথা না বললেই নয়, রোজায় আপনি যতই অসুস্থ থাকুন বা যত রকম জটিলতাই থাকুক না কেন, আপনার খাদ্য ও জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে সেগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব।