Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'ভারতের বিভাজনের মূল হোতা মোদি'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ০২:০৮ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০২:০৮ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাত দফার মধ্যে আর দুই দফার ভোট বাকি। শেষ দুই ধাপের ভোট নিয়ে উত্তেজনা যখন চরমে তখনই বোমাটা ফাটালো যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ‘টাইম’ ম্যাগাজিন।

ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। তার পাশে হেডলাইন- ‘ইন্ডিয়াজ ডিভাইডার ইন চিফ’ অর্থাৎ ভারতের বিভাজনের হোতা।

প্রতিবেদনটির হেডলাইন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র কি আর পাঁচ বছরের জন্য মোদির সরকারকে সহ্য করতে পারবে?’ অথচ এখন থেকে মাত্র চার বছর আগেও একবার তাকে নিয়ে প্রচ্ছদ করা হয়েছিল। সেখানে তাকে তুলে ধরা হয়েছিল ভারতের ‘নতুন যুগের সংস্কারক হিসেবে’।

টাইমের প্রতিবেদনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ধর্মনিরপেক্ষ নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। তার সেই নীতির সঙ্গে মোদির বর্তমান চিন্তাভাবনার তুলনা করেছেন লেখক।

এমনও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বহুত্ববাদের ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার কোনো চেষ্টাই করেননি এমনকি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে গুজরাটের ঐতিহাসিক দাঙ্গার কথাও। সেই দাঙ্গায় অসংখ্য প্রাণহানির কথা।

পুরো প্রতিবেদনেই হিন্দু-মুসলিমের সম্পর্ক নিয়ে মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। তার হিন্দুত্বের মনোভাব আর অ-হিন্দুত্বে বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।

মোদি জমানায় অর্থাৎ ২০১৪ সালের পর থেকে আমেরিকার কোনো ম্যাগাজিনে এ ধরনের মোদিবিরোধী লেখা স্থান পায়নি। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই বজায় ছিল মোদি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় বসার পর থেকেই।

এর আগে নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল ২০১২ সালে। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রতিবেদনে নরেন্দ্র মোদিকে এক বিতর্কিত চরিত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং কূটরাজনীতিক। আবার ২০১৯-এ ভারতে যখন ভোটযুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে, তখনই এ ধরনের এক প্রতিবেদন এবার মোদির ক্ষমতায় ফেরা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।

Bootstrap Image Preview