Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলা, নিহত ১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ১০:১৯ AM
আপডেট: ০৮ মে ২০১৯, ১০:১৯ AM

bdmorning Image Preview


যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোরে দুই শিক্ষার্থী একটি স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলটির এক শিক্ষার্থী নিহতসহ আহত হয়েছে আরও অন্তত সাতজন। এরইমধ্যে ওই দুই বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

কলোরাডোর ডেনভারে ‘স্টেম স্কুল হাইল্যান্ডস রাঞ্চ’ অবস্থিত। কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত ১৮শ’রও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে সেখানে। ডগলাসের কাউন্টি শেরিফ টনি স্পুরলকের বর্ণনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুই শিক্ষার্থী স্কুলের দুইটি ক্লাসরুমে ঢুকে গুলি ছুড়তে থাকে। সেসময় আট শিক্ষার্থী হতাহত হয়। খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে পার্শ্ববর্তী শেরিফ বিভাগের সাবস্টেশন ডেপুটিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর ওই দুই বন্দুকধারী শিক্ষার্থীকে আটক করতে সক্ষম হন তারা।

ডগলাস কাউন্টি আন্ডারশেরিফ হোলি নিকোলসন ক্লুথ বলেন, ‘কর্মকর্তারা যখন স্কুলে পৌঁছান তখনও ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। কর্মকর্তারা স্কুলে ঢুকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারায় অনেকগুলো জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।’

আটক দুই শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি স্পুরলক। শুধু জানিয়েছেন, তাদের একজন প্রাপ্তবয়স্ক আর আরেকজন শিশু। নিহত শিক্ষার্থীর নামও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে তার বয়স ১৮ বছর বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিগতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার বৈধতা দেওয়া হয়। এর সুযোগে সংঘটিত একের পর এক বন্দুক হামলার প্রেক্ষাপটে সাবেক ওবামা প্রশাসন বেশ কয়েকবার আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বন্দুক ব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাস-সহিংসতা যেন সেখানকার সাধারণ আর স্বাভাবিক এক বাস্তবতা। এখন অনেক নাগরিকই এই সংশোধনীর পরিবর্তন চাইলেও বাধ সাজছে বৃহৎ অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৭ সালে ১ অক্টোবর লাস ভেগাস শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত কনসার্টে বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে সে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলা হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীরাও মাঝে মাঝেই বন্দুক ব্যবহারের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টি করে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দায়িত্ব পালনকালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষপাতী ছিলেন। তবে এ নিয়ে তিনি রিপাবলিকান শিবিরের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকারের পক্ষপাতী। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বন্দুক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে জোরালো হওয়া প্রতিবাদের মুখে অস্ত্র আইন সংশোধনের দাবির একাংশ মেনে নেন ট্রাম্প। আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করে দিয়ে ‘বন্দুকের দোসর’ ট্রাম্প অস্ত্র আইনে কঠোরতার প্রস্তাব আনেন। তবে মার্কিন পার্লামেন্টে তা এখনও অনুমোদন পায়নি। বিপরীতে অস্ত্র আইনকে কঠোরতা কমাতে লবিস্টদের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview