চীনের এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল এ্যাফায়েরের ভাইস মেনিস্টার কিউইউ ড্যানগুইউ বলেছেন, এদেশের ভৌগলিক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মঠ ও বন্ধুসুলভ। কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আ. রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নতুন কিছু নয়; এ সম্পর্ক প্রাচীন। ঢাকা-বেইজিংয়ের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক। বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কৃষি, বিনিয়োগ এবং শিল্প-বাণিজ্যে মহাচীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিস্তার চায় সরকার। সত্তর দশকের প্রথমার্ধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সঙ্গে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন; সেটা আরো বিকশিত করতে চান তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার।
আজ (মঙ্গলবার) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি’র সাথে মন্ত্রণালয় তার অফিস কক্ষে চীনের এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল এ্যাফায়েরের ভাইস মেনিস্টার কিউইউ ড্যানগুইউ এর সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
এছাড়া দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় কথা হয়। চীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ করছে। আগামী দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়তো চমকে দেবে বিশ্ববাসীকে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হওয়ার কারণ হিসেবে ভাইস মিনিস্টার বলেন, এদেশের ভৌগলিক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মঠ ও বন্ধুসুলভ। কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য চীন সব সময়বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, অধিক ফলনশীল ধানের জাত আমরা উদ্ভাবন করছি যদিও এ বিষয় চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে। মানসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সরকারের বড় চ্যালেঞ্চ। বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করে কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের মানসম্মত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হতে সবখাতে কাজ চলছে।