আমেরিকার সম্ভাব্য যেকোনো হামলা প্রতিহত করার জন্য ভেনিজুয়েলা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ অ্যারিয়াজা। সোমবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের এ প্রস্তুতির কথা জানান।
ভেনিজুয়েলার মার্কিন-সমর্থিত বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর পক্ষ থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ ঘোষণা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যারিয়াজা।
ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি মস্কোয় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে কূটনীতি, সংলাপ ও শান্তি।” ভেনিজুয়েলার শীর্ষ কূটনীতিক আরো বলেন, “কিন্তু যদি হোয়াইট হাউজ সামরিক উপায়ে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করলে আমাদের জবাব স্পষ্ট। আমাদের রয়েছে একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যা শুধু প্রতিরোধ ও যুদ্ধ করতেই শেখেনি একইসঙ্গে বিজয়ী হতেও শিখেছে।”
প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার দেশের সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়ার দু’দিন পর তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মস্কোয় সম্ভাব্য মার্কিন হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতির খবর দিলেন। মাদুরো শনিবার দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কোজেদেস প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, “সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা যদি কোনোদিন এই দেশের ভূমি স্পর্শ করার ধৃষ্টতা দেখায় সেদিনের জন্য আপনারা হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকুন।”
গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গুয়াইদো এক জনসভায় নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণার পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদুরো সরকারকে উৎখাতের জন্য ভেনিজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক চাপ জোরদার করেন এবং একাধিকবার দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেন।