আহা! কি প্রশান্তি! আত্নতৃপ্তি! হৃদয় শীতল হয়ে যাওয়ার মতো ছবিগুলো দেখতেই চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। রোদের তিক্ততায় ভ্যাপসা গরমে এক গ্লাস পানিই জুড়িয়ে দেয় মন। সেখানে ঠান্ডা শরবত হলেতো জমে ক্ষীর! সেই ক্ষীর নিয়েই শ্রমজীবী মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছিলো স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন 'স্মাইল'।
সিক্রেট অফ ইউর হ্যাপিনেস এর সংক্ষিপ্ত রুপ স্মাইল। বিশ্ব শ্রম দিবস উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে শ্রমজীবী মানুষদের পৌঁছে দিয়েছেন বিনামূল্যে শরবত ও গামছা। ঢাকার বেইলীরোড,ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সহ নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুরে পালিত হয় এই কার্যক্রম।
সিক্রেট অফ ইউর হ্যাপিনেস এর পক্ষ থেকে সারাদেশে একযোগে পালিত হয়ে গেলো শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বিনামূল্যে শরবত বিতরন এবং গামছা বিতরণী কার্যক্রম। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা স্মাইলের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থান হলো সহ ।
সিক্রেট অফ ইউর হ্যাপিনেস হলো একটা সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এটি বিভিন্ন সামাজিক সচেতনামূলক কাজ করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রতি্টি বিভাগ এবং জেলায় স্মাইলের পথশিশুদের একটি করে ইচ্ছের হাসি বিদ্যালয় স্থাপন, শিশু নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন, ইচ্ছের দেয়াল স্থাপন, আত্মহত্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন।
শ্রমজীবী মানুষদের উদ্দেশ্যে পালিত কার্যক্রম নিয়ে সংগঠনটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, 'সারাবছরই শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে,আমরা বিশেষ দিনে ছুটি পেলেও তাদের কোন ছুটি নেই। রোদ বৃষ্টি ঝড়েও তারা কাজ করে যায়। এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর জন্যেই আমাদের নিত্যদিনের কাজ সহজ হয়েছে। তাই স্মাইল-সিক্রেট অফ ইউর হ্যাপিনেস এর পক্ষ থেকে আমরা এই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর ছোট্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এই তীব্র গরমে তাদের তৃষ্ণা নিবারনের চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। পুরো বাংলাদেশে প্রায় ২০০০ এর বেশি মানুষকে আমরা শরবত খাইয়েছি। আশা করি আমাদের মত অন্য সবাইও তাদের পাশে এগিয়ে আসবেন'।
স্মাইল চায় পরিবর্তন, গড়তে চায় স্বনির্ভর বাংলাদেশ। আর তাইতো স্মাইল পথশিশুদের উদ্দেশ্যে বলে তুমি হাসলেই হাসবো আমরা আর হাসবে বাংলাদেশ।