ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য হরিণাকুণ্ডু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্ষক নেপু হরিশপুর গ্রামের মৃত মজিবর মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হরিশপুর গ্রামের নেফাউর মিয়া ওরফে নেপু দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম শ্রেণির হতদরিদ্র পরিবারের এক ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। নেপুর স্ত্রীকে কাজে সহায়তা করার জন্য ছাত্রীটিকে আশ্রিতা হিসেবে তার বাড়িতে রাখেন। পরে সুযোগ বুঝে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। নেপু সমাজে প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামে বহুবার সালিশ বৈঠক করেও কোন বিচার করতে পারেনি।
সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল ওই কিশোরীকে ও তার মাকে নেপুর নিজ ঘরে ঘুমাতে বলে। সরল বিশ্বাসে মা-মেয়ে নেপুর বসত ঘরে ঘুমাতে যায়। কিন্তু নেপু ওইদিন রাত ১০ টার দিকে বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলে দিতে বলে। কিশোরীটি দরজা খুলে দিলে নেপু মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে ওই মা ও মেয়ে ঝিনাইদহের একটি আদালতের দারস্থ হয়। মামলা করার পর ওই ছাত্রী ও তার মা প্রাণ ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।
এই বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, তিনি এখনো কোর্টের আদেশ হাতে পাননি। আদেশ হাতে পাওয়া মাত্রই তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।