Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চিরিরবন্দরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরোর আবাদ

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৬ AM
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৬ AM

bdmorning Image Preview


দিনাজপুরের শস্যভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত চিরিরবন্দরে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো রোপণ করেছে। যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। নয়নাভিরাম এই সবুজের মেলা চলতি বোরো মৌসুমকে কেন্দ্র করে।

সবুজের অরণ্যে চলছে শেষ সময়ের সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, কোথাও বা আগাছা পরিষ্কার। ইতোমধ্যে ধানের গোছাগুলো বেশ শক্ক-পোক্ত হয়েছে। সারাদেশে পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক থাকায় আর পর্যাপ্ত পানির সুযোগে বোরোর গোছা নিজ পায়ে দাড়িয়ে মাঠগুলোকে করেছে চোখ ধাঁধানো সবুজ। উপযুক্ত পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতায় পুরোদমে এগিয়ে চলা চলতি বোরো মৌসুমে ফসলি মাঠ যেন এবার একটু বেশিই সবুজ।

তাছাড়া বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর প্রভাবও পড়েনি। ফলে কৃষকরা যথাসময়ে বিপুল পরিমাণ জমিতে বোরো রোপণ করেছেন। রোপণকৃত চারাগুলো বড় হয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সবুজে ছেয়ে গেছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৬ হাজার ৩'শ ৩০ হেক্টর জমিতে উফশী এবং ২ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় লক্ষমাত্রা ১৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমি। যা অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৬'শ ৯৫ হেক্টর জমি। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা জমিগুলোতে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ অনেক আগে শেষ করে ফেলছে। এখন জমিতে প্রয়োজনীয় পানি, সার প্রয়োগের ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার সাতানালা ইউনিয়নের কৃষক জিয়াউর রহমান, মাষ্টার পাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন, বানিয়া পাড়া ফজলুর রহমান জানান, তারা জমিতে আলু উত্তোলনের পরপরই জমি বোরো চাষের জন্য তৈরি করেন এবং জানুয়ারির শুরু থেকেই জমিতে বোরো বীজতলা রোপণ শুরু করে দেন। রোপণকৃত চারাগুলো এখন কোন রকম রোগবলাই ছাড়াই সতেজ হয়ে উঠেছে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, এবার বোরো আবাদ নির্ধারিত লক্ষমাত্রা ছিলো ১৮ হাজার ৫১০ হেক্টর। যা অতিক্রম করে ১৮ হাজার ৬৯৫ হেক্টর অর্জিত হয়েছে। কোন রকম রোগবলাই যাতে আক্রমণ   করতে না পারে সেজন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। 
 

Bootstrap Image Preview