ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি রমজানের পর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। যে চুক্তিটিকে ‘শতবর্ষী বা শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ বলে অভিহিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
কদিন আগে নিউইয়র্কের টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে একটি আলোচনায় প্রধান মার্কিন কর্মকর্তাদের একজন এই চুক্তির প্রস্তুতির কথা জানান।
চুক্তিতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শিরোনামে দুটি প্রধান অংশ রয়েছে। রাজনৈতিক অংশ হিসেবে জেরুজালেম এবং উদ্বাস্তুদের অবস্থা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। অথচ অর্থনৈতিক বিভাগ ফিলিস্তিনি অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত।
জ্যারেড কুশনার বলেন, ‘আমরা গত বছর শেষের দিকে এই চুক্তি ঘোষণার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু ইসরাইলে নির্বাচনের কারণে তা এত দিন সম্ভব হয়নি।
এদিকে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার তদন্ত ও বিচারের বিষয়ে স্বচ্ছতার জন্য সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে পরামর্শ দিয়েছে ট্রাম্প জামাতা।
কয়েক মাস আগে ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন ফর্মুলা পেশ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ফর্মুলাকে ‘শতবর্ষী বা শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ শিরোনামে উল্লেখ করা হয়।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মাঝে সমঝোতা চান। ইসরাইলের নির্বাচনের পর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতে পারেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ বা পিএ বলেছিল, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট নিরসনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যে প্রস্তাব দিয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে না।
পিএ'র মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ তখন বলেন, ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম বা আল কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে সামান্যতম খর্ব করে এমন পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে।
শতাব্দীর সেরা চু্ক্তি বিষয়ে যেসব তথ্য এবং গুজব বের হয়েছে এবং তার প্রতি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা সফল হবে না।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছেন, তারা আর আমেরিকাকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানবেন না।