আপনি যদি চায়ের সমঝদার হন, তাহলে আপনার জন্য আছে সুসংবাদ। বাঙালিদের কাছে এক কাপ চায়ের মাহাত্ম্য যে কী সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই বঙ্গের প্রতিটি অলিতে-গলিতে সকাল থেকে রাত্রি চায়ের অগুনতি ঠেক জানান দেয় বাঙালির কাছে কেবল পানি নয়, জীবনের অন্য নাম চা।
মাথা ব্যথায় আদা চা, গলা খারাপে তুলসী চা থেকে শুরু করে লেবু চা আর কড়া করে দুধ চা তো রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে পৃথিবীতে এমন রকমের চা রয়েছে যা আমাদের মিষ্টি চা, মশলা চা, লিকার চায়ের থেকে আলাদা তো বটেই, খানিক উদ্ভটও।
চলুন জেনে নিই, সারা বিশ্বের সেরা ১০টি উদ্ভট চায়ের সন্ধান-
ছারপোকার মলের চা
পান্ডা ডাং চায়ের থেকে এটি ভিন্ন। এই চা সত্যি করেই ছারপোকার মল দিয়েই বানানো! এই চা শস্যের মথ লার্ভার মল থেকে তৈরি করা হয়। এই লার্ভাদেরকে খাওয়ানো হয় কেবলই জৈব চা পাতা।
পান্ডার মলের চা
চিন্তা করবেন না, এটা পান্ডার মল থেকে তৈরি করা হয় না। পান্ডা ডাং চা আসলে চিনের সিচুয়ানের ইয়াং প্রদেশে চাষ করা এক ধরনের চা যাতে সার হিসাবে পান্ডার মল ব্যবহার করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী চায়ের অন্যতম।
টমেটো মিন্ট চা
নামের মতোই এই চা টমেটো, পুদিনা এবং কালো চায়ের একটি দুর্দান্ত ভূমধ্যসাগরীয় মিশ্রণ। এর স্বাদ ব্যখ্যা করে অনেকেই বলেছেন স্যুপের মতো।
রসুন চা
আপনি কি জানেন যে আপনি এক গ্লাস চায়ের মতো করে রসুন খেতে পারেন এবং এই চায়ের স্বাস্থ্যগুণও অনবদ্য!
সিলোসিবিন মাশরুম চা
সিলোসিবিন মাশরুম শক্তিশালী সাইকেডেলিক্স এবং ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ।
স্পার্কলিং চা
স্পার্কলিং চা আসলে এই শতাব্দী প্রাচীন পানীয়ে সামান্য টুইস্ট। এটা তৈরি হয় বোতলবন্দি চায়ে কার্বনেশন যোগ করে এবং সাধারণত ঠান্ডাই খাওয়া হয়।
পু-এরহ চা
এটি চিনে তৈরি একটি বিশেষ ফার্মেন্টেড চা। এটি এক ধরনের সবুজ চা যা ধীরে ধীরে একটি বিশেষ ছত্রাক ব্যবহার করে পুরনো করা হয় এবং সারা বিশ্বেই এর জনপ্রিয়তা বেশ ভালো।
কম্বুচা চা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্বুচা চায়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি টক চা যা ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
স্যালভিয়া চা
এটিও একটি হ্যালুসিনোজেন পানীয় যা মেক্সিকান আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানগুলিতে খাওয়া হয়। এই বিশেষ চা খাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো, কারণ এটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ।
ফার্মেন্টেড ইয়াক মাখন চা
এই মাখনযুক্ত কনকোশন চা ইয়াক মাখন এবং লবণ মিশিয়ে খাওয়া হয়। এর প্রস্তুতিতে অর্ধেক দিন লেগে যেতে পারে, এবং এটি নেপাল, ভুটান, ভারত এবং তিব্বতের হিমালয়ের অঞ্চলে জনপ্রিয় পানীয়।