Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় ধর্ষকরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৩৮ PM
আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪০ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবার ধর্মপুরে রাতভর ধর্ষণ শিকার হয়েছে  ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। এরপর সকালে চলন্ত অটোরিকশা থেকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় কিশোরীর মা কসবা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী। পরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে  জানা যায়, গত রবিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী বাড়ি যাচ্ছিল। পথে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে আবদুর রশিদের ছেলে ফারুক মিয়া (২৮) একই গ্রামের শাহরিয়া এবং মিঠু পাঠানের সহযোগিতায় জোরপূর্বক অটোরিকশায়  তুলে তাকে ধর্মপুরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাতে ফারুকের বাড়িতে এনে পুরুনো একটি ঘরে আটকে রেখে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় বিকেল থেকে রাতভর বাড়ির লোকজন মেয়েটির সন্ধানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজলেন।

পরদিন সোমবার সকালে ফারুক এবং তার সহযোগীরা মেয়েটিকে চলন্ত অটোরিকশা থেকে তার বাড়ির পাশে ফেলে চলে যায়। কিশোরীর আত্মচিৎকারে লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে থানায় মামলা করতে বলেন।

বাবা প্রবাসে থাকায় শিশুটির মা মঙ্গলবার রাতে ফারুকসহ তিনজনকে আসামি করে কসবা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এ ঘটনার পর আসামিরা পলাতক রয়েছে। 

এই বিষয় কসবা থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. বেলাল হোসেন জানান, শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক ফারজানা আক্তারের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে শিশুটিকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের কথা আদালতের কাছে বলেছে। 

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তার মা থানায় মামলা করেছেন। এতে ফারুকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview