Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মীরসরাইয়ে বরবটির বাম্পার ফলন, হিমাগার না থাকায় ঠকছে কৃষকরা

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৪ PM
আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


মীরসরাইয়ে এ বছর বরবটির বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। ফলে উপজেলার কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি জমির আইলেও বরবটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর গ্রীষ্মকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিট ও উপশী প্রজাতির বরবটি। তবে শীতকালে ৮০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষ করা হয়। বর্তমানে কৃষকরা পাইকারী হিসেবে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি করছে ৫০-৬০ টাকা।

 চলতি বছর উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, ইছাখালী, দূর্গাপুর, মীরসরাই সদর ইউনিয়ন, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে বরবটি চাষ করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে করেরহাট, জোরারগঞ্জ, ওয়াহেদপুর, হিঙ্গুলী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপাশে সোনাপাহাড় এলাকায় পাহাড়ী এলাকা থেকে কৃষকরা গ্রামীণ সড়ক চষে বরবটির ভার এনে মহাসড়কের পাশের একটি মাঠে রাখছেন। সেখানে প্রতিটি বরবটি ভাজ করে পাল্লায় তুলে ১ কেজি করে আঁটি বাঁধছেন। পরে সেগুলো সারিবদ্ধ আকারে খাঁচায় ভরে সাজিয়ে রাখেন।

এসময় দেখা যায় কয়েকজন পাইকারের আনাঘোনা। প্রতি কেজি বরবটি পাইকাররা ৪০-৫০ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। পরে তারা গ্রামের এবং শহরের বিভিন্ন বাজারে তা ৭০-৮০ টাকা করে খুচরা বিক্রি করেন।

বরবটি চাষী স্থানীয় জনৈক কামাল উদ্দিন বলেন, একদিন পর পর কৃষকরা ক্ষেত থেকে বরবটি তুলে তা কাধেঁ করে (ভার) বয়ে আনেন এখানে। পরে আমরা সবাই সারিবদ্ধভাবে বসে প্রথমে সেগুলো ভাজ করি। তারপর পাল্লায় তুলে ওজন নির্ণয় করি। পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়।

তিনি জানান, এখানে প্রায় ২০-২৫ একর জমিতে বরবটি চাষ করা হয়েছে। প্রায় ১৫-২০ জন কৃষক তাদের ক্ষেত থেকে বরবটি তুলে এখানে এনে সবাই একসাথে সাজিয়ে বিক্রি করেন। এতে বাজারে নেয়ার ঝামেলা পোহাতে হয় না। নগদ টাকায় উপযুক্ত মূল্য পেয়ে আমরাও বেশ ভালো আছি।

তিনি আরো জানান, দৈনিক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বরবটি বিক্রি করা হয়।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, হিমাগার না থাকায় সবজিগুলো বেশি দিন রাখা যাচ্ছে না। পচে যাওয়ার ভয়ে নির্ধারিত সময়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় পাইকারদের কাছে ঠকে যেতে হয়।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্নস্থানে আগের দিন বিকালে বরবটি তুলে আড়ি বেঁধে রাখে। সকালে খাঁচায় করে বরবটির আড়ি গুলো বাজারে নিয়ে আসে। বিশেষ করে বড়দারোগারহাট, বারইয়ারহাট, মিঠাছরা, করেরহাটসহ স্থানীয় বাজারগুলোতে বরবটি বিক্রয়ের জন্য আনা হয়। স্থানীয় বাজার থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসব বরবটি কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, চলতি বছর মীরসরাইয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে বরবটির ভালো ফলন হয়েছে। ফলে ধানের পাশাপাশি কৃষকরা সবজি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বরবটির মূল্য পেয়ে কৃসকরা খুশি। তবে হিমাগারের  জন্য আমরা স্থানীয় ব্যাক্তিদের উৎসাহিত করছি। আশা করছি মীরসরাইতে একটা হিমাগারের ব্যবস্থা করা যাবে।  
 
 

Bootstrap Image Preview