Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ত্রিপোলিতে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ২১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৫৭ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার সরকার।

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, বিদ্রোহী বাহিনী পূর্ব দিক থেকে লিবিয়া অভিমুখে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারকেই মূলত জাতিসংঘ সমর্থন করছে।

প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ অভিযোগ করেছেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ত্রিপোলি শহরের নিকটে সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দুই পক্ষকেই তিনি তাৎক্ষণিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ত্রিপোলি অভিমুখে একপাক্ষিক সামরিক অভিযান বেসামরিক লোকদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এর মাধ্যমে সকল লিবিয়ানের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

গত শনিবার দুই পক্ষের হামলার মধ্যে পড়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। অপরদিকে জেনারেল হাফতার বাহিনী স্বীকার করেছে, তারা নিজেদের ১৪ সৈন্যকে হারিয়েছে।

এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরে যেতে দুই ঘণ্টা সময় দেয়ার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। তবে সেই আহ্বান সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার জন্য লিবিয়া যান। কিন্তু কোন সমঝোতা হয়নি। গুতেরেস লিবিয়া ছাড়ার আগেই হাফতার বাহিনী ত্রিপলি দখলের জন্য অভিযান শুরু করে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়ায় সংঘাত সংঘর্ষ লেগেই আছে। ত্রিপোলিতে গাদ্দাফি বিরোধীরা সরকার পরিচালনা করছে, যাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে গাদ্দাফির সাবেক সহযোগী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল হাফতার তেল সমৃদ্ধ নগরী বেনগাজীর নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এখন পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে নিতে রাজধানী অভিমুখে অভিযান শুরু করেছে হাফতার বাহিনী।

Bootstrap Image Preview