আর মাত্র কয়েকদিন পর ভারতে লোকসভা নির্বাচন। দেশটির এই সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশটিতে বায়ু দূষণ রুখতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেছেন।
যেমন, কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে বায়ু দূষণের কারণে ভারতে ১২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালে স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে দূষিত বাতাসের কারণে ভারতে ১২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত বাতাসের কারণে ২০১৫ সালে ১১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৭ সালে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে গেছে।
বায়ুদূষণ ভারতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের মধ্যে বায়ুদূষণে অতি বিপজ্জনক রাজধানীগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। সারাবিশ্বে সবচেয়ে দূষিত অঞ্চলের তকমা জুটেছে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা এনসিআর।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম গঠন করেছে ভারত। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আদতে এটি খুব একটি সক্রিয় নয়। বিশ্বের প্রথম ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে ভারতেই ১৫টি। বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়, তার মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বায়ুদূষণ।
দিল্লি, গুরগাঁও ও ফরিদাবাদসহ ভারতের গাঙ্গেয় শহরগুলোতে পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, কোনও ব্যক্তি যদি ধূমপায়ী নাও হন, তবুও বায়ুদূষণের জন্য তিনি চেন স্মোকারের সমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।