Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসলামী শাসন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে ব্রুনাইয়ে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০২:০৯ PM
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০২:০৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র ব্রুনাই। দেশটি তিন দিক থেকে মালয়েশিয়া ও এক দিকে চীন সাগর দ্বারা বেষ্টিত। ১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটিতে সম্প্রতি ইসলামি শরিয়া আইন চালু হচ্ছে।

ইসলামি আইনের প্রধান উৎস আল-কুরআনের বিধান প্রয়োগে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে চলছে দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনাই। দোকানে মদবিক্রি ও মদপান থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন অপরাধে ইসলামি আইন বাস্তবায়নে দেশটি শক্ত ভূমিকা রাখছে।

আগামী ৩ এপ্রিল থেকে নতুন একটি আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তারা। সমকামিতা, পরকীয়া ও ব্যাভিচারের অপরাধে উন্মুক্ত মঞ্চে পাথর ছুড়ে মৃত্যু নিশ্চিত করবে।

ব্রিটেন উপনিবেশকালেও ব্রুনাইয়ে সমকামিতা ছিল নিষিদ্ধ। এটাকে দেশ ও সমাজের জন্য জঘন্য অপরাধ সাব্যস্ত করে এ অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করতে যাচ্ছে দ্বীপদেশ ব্রুনাই।

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় কুরআনি আইন চালু হওয়া থেকে নিজ দেশে কুরআনি আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন দেশটির বাদশাহ হাসান আল-বালকিয়াহ। এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্মবিশ্বাসে নিজেদের হাজার বছরের ইচ্ছা ও ঐতিহ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে তারা।

তবে সমকামিতা, পরকীয়া ও ধর্ষণের অপরাধে কঠোর শরিয়া আইন ‘পাথর ছুড়ে হত্যা’ শাস্তির বিধান চালু করায় সমালোচনাও রয়েছে দেশটিতে। কুরআনের এ বিধান চালু করায় দেশটিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ব্রুনাই’র কাছে এ আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।

মানুষকে সমকামিতা, পরকীয়া ও ধর্ষণের মতো মারাত্মক সামাজিক অপরাধগুলো থেকে ফেরাতে শুধু বিধান বাস্তবায়ন করাই শেষ নয় বরং এ শাস্তি কার্যকর করা হবে সাধারণ মানুষের সামনে উন্মুক্ত মঞ্চে।

‘পাথর ছুড়ে হত্যা’র আইন বাস্তবায়ন মানুষকে দেখানো হবে যাতে এ ধরনের অপরাধে অন্যরা নিজেদের নিয়োজিত না করে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রে বিশ্বাসী দেশটি পবিত্র কুরআনের আলোকে দেশ শাসনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও সুলতান হাসান আল-বালকিয়াহ-এর একচেটিয়া প্রভাব ও নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় দেশটি।

১৯৮৪ সালে ব্রিটেন উপনিবেশ থেকে আলাদা হলেও এখনো ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সুসম্পর্ক। আর ব্রিটিশ শাসনামলেও দেশটিতে সমকামিতা নিষিদ্ধ ছিল। তখন এ অপরাধে কারাবাসের বিধান থাকলেও নতুন করে ইসলামি বিধান মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ব্রুনাই ইসলামি শরিয়া আইনে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেয়। আর এ সিদ্ধান্ত সুলতানের নির্দেশই গ্রহণ করা হয়। সাম্প্রতিক আইন অর্থাৎ সমকামিতা ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তথা পরকীয়ার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড আইন পাশ করায় দেশটির অধিকাংশ মুসলমান স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এতে দেশে অপরাধের সংখ্যা আরও কমবে এবং সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।

Bootstrap Image Preview