অবরুদ্ধ গাজা সীমান্তে ভূমি আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকীতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। এতে, ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত চার ফিলিস্তিনি। আহত হন আরও দুই শতাধিক।
এদিকে, চলমান উত্তেজনা নিরসনে গাজায় হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর দাবি করা হলেও, এ বিষয়ে তেল আবিবের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলি সেনা সদস্যরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। শনিবার রামাল্লার মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গাজা সীমান্তও।
ভূমি ফিরে পাওয়া এবং দখলদারিত্বের অবসানের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন 'দ্য গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন' কর্মসূচির এক বছর পূর্ণ হয় শনিবার (৩০ মার্চ)। দিবসটিকে ঘিরে নতুন করে আন্দোলনে নামে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ। তারা সীমান্ত বেড়ার কাছে যাওয়ার আগেই গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ইসরাইলি বাহিনী। এতে ঘটে হতাহতের ঘটনা।
ফিলিস্তিনের হামাস নেতা ইসমাইল রেদওয়ান বলেন, নিয়মমাফিক আমরা কর্মসূচি পালন করে যাবো। ভূমি উদ্ধারে প্রত্যেকে এক আছি, এক থাকবো। পাশাপাশি অবরোধ তুলে নেওয়াও আহ্বান জানাচ্ছি।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিশ্ববাসীকে দেখাতে এসেছি যে, আমরা কতটা বঞ্চিত। ইসরাইল আমাদের অধিকার হরণ করছে। এ নিয়ে কেউই কিছু বলছে না!
তবে যেকোনো মূল্যে আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ইসরাইল সেনা বাহিনী। গেলো কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত সেনা।
এক সেনা সদস্য জানান, প্রতিবাদকারীরা সীমান্তের ছয়টি স্থান থেকে হামলা করেছে। আমরাও সাধ্য মতো প্রতিহত করেছি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। যাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। এতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, নিহতদের মরদেহ নিয়েও আলাদা বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। পরে জানাজায় শরিক হন হাজারো মানুষ।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের এমন আগ্রাসনের মধ্যেই ফ্রান্সের প্যারিসে রাজপথে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। শত শত বিক্ষোভকারী ইউরোপের দেশগুলোকে তেল আবিবের স্বেচ্ছচারিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইসরাইলের পণ্য বর্জনেরও ডাক দেন তারা।