Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনে জিতলেই রাহুল গান্ধীই প্রধানমন্ত্রী!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৮ AM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হলে রাহুল গান্ধীই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার উত্তরপ্রদেশের আমেথিতে এক নির্বাচনীয় জনসভায় এমন ঘোষণা দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী।

এই প্রথম গান্ধী-নেহেরু পরিবারের কেউ রাহুলের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতবই। আর ভাই রাহুল হবেন প্রধানমন্ত্রী।’ যদিও কংগ্রেস থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

এমনকি রাহুল নিজেও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবেন না তিনি। যদিও ডিএমকে, আরজেডি, জেডির (এস) মতো কয়েকটি দলের নেতারা দাবি করেছেন, তারা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ও শারদ পাওয়ার এতে সমর্থন দেননি। মমতা জানান, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা ভোটের ফলাফলের পর বৈঠক করে ঠিক করা হবে। শারদ পাওয়ারও একই মত দিয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের আমেথিতে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রিয়াংকা আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে কংগ্রেসের সরকার গড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল। এই দায়িত্ব পালনের জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে আমরা এ ভোটে জিততে চাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর এ জয় হবে পুরো ভারতের জয়।’

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজকর্ম নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের অভিযোগকে ‘ছোট ছেলের কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কৃষক, শ্রমিক, যুবকদের জন্য মমতা কিছু করেননি বলে দিন কয়েক আগে মালদহে এসে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রাহুল।

তার জবাবে বুধবার মমতা বলেন, ‘ছোট ছেলে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। ও বলেছে বলে আমাকেও বলতে হবে নাকি?’ রাহুলের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও এদিন অবশ্য লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ইশতেহার প্রকাশের শুরুতেই কর্মসংস্থান, কৃষক, শ্রমিকদের জন্য তার সরকারের কাজের ফিরিস্তি দেন মমতা।

কৃষকদের খাজনা মওকুফ থেকে শুরু করে তাদের জন্য বীমা-প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন মমতা। এ রাজ্যে কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য তার প্রকল্পগুলোরও খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে দুই লাখ মানুষকে তিনি যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাও জানান।

এরপরেই কারও নাম না করেই মমতা বলেন, ‘যারা এ সব জানে না, তারাই কথা বলে। ভারত সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। ফলে রাজনৈতিক কারণে যা ইচ্ছে বলে যাওয়া ঠিক হবে না।’

Bootstrap Image Preview