মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করা হয় এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব ছিলো খুদে শিক্ষার্থীদের অঙ্কিত স্বাধীনতার চিত্র প্রদর্শন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত দেশাত্মবোধক সংগীত ও নৃত্য প্রবাসীদের মাঝে দারুন আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এহসানুলল রাফিদ আদিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মুনতাহা আলমগীর ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ফারিয়া হুদা জাকিয়া।
এসময় বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত এক অবিসংবাদিত নেতা যিনি পরবর্তীতে বাঙালি জাতির পিতায় অভিসিক্ত হন তার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে আমাদের স্বাধীনতার বীজমন্ত্রটি লুকিয়ে ছিল। বাঙালি বীরের জাতি। তারা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। বীরত্বের সাথে মাত্র নয় মাসে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এর আগে স্বাগত বক্তৃতায় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আফজাল হোসেন আগত অতিথি এবং শুভানুধ্যায়ীদের অনুষ্ঠানে সমাবেত হয়ে আজকের জাতীয় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি মহান স্বাধীনা আন্দোলনের পতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা সহ ত্রিশলক্ষ শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।
বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য জনাব সফিকুল সিরাজুল হক স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। বোর্ড সিগনেটরী জনাব মোঃ আব্দুল হাকিম তার বক্তৃতায় এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বধীনতা অর্জনে আত্মহুতি দানকারী বীর শহিদদের অসামান্য অবদানের কথা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক জনাব হাবিব মোমানী।