আমাদের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আবারো হামলার মুখে এবং কেউ সেটা জানারও চেষ্টা করছে না। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ভিডিও প্রদর্শনের সাইটগুলো বন্ধের ঘোষণা ও শর্ত সাপেক্ষে কিছু সাইটে প্রবেশের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের একদল মানুষ এভাবেই সরকারের প্রতি আঙুল তুলেছেন।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যে পর্নো সাইটে প্রবেশ করতে হলে ক্রেডিট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এমনকি পাসপোর্টের নম্বরও লাগবে। এছাড়া সেখানকার যে কোনো দোকান থেকে পর্নো ভিডিও কিনতে হলে খরচ করতে হবে অন্তত ১০ পাউন্ড। তার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছেন অনেকেই।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, শিশুদের যৌনতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এ ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হলেও বাস্তবে কিন্তু এসব বাধ্য বাধকতার ফলে সরকার আমাদের শোবার ঘরে প্রবেশের পাঁয়তারা করছে। আমরা কী পছন্দ করি আর না করি, সেটা সরকার জেনে যাচ্ছে। ফলে আমাদের গোপনীয় বিষয় আর গোপনীয় থাকছে না। আবার অনেকে এসব ভেজাল এড়িয়ে নিজের চাহিদা বালিচাপা দিয়ে দিচ্ছে। যেটা মানসিকভাবে প্রভাব পড়ছে অনেকের।
যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, কেবল বয়স যাচাই করেই নির্দিষ্ট কিছু পর্নো সাইটে প্রবেশ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে সকলের ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রাখা হবে।
যদিও অভিযোগ রয়েছে, বয়স যাচাই করার জন্য এজআইডি নামের যে প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণ করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। ২০১২ সাল থেকে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য তাদের কাছে মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে এজআইডি বলছে, তারা কোনোভাবেই গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে না।
তবে এসব ওয়েবসাইটে তথ্য দিয়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ প্রতারিত হচ্ছেন। সে কারণে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের চাওয়া, পর্নোগ্রাফি দেখার ক্ষেত্রে এ ধরনের শর্ত যেন জুড়ে দেওয়া না হয়।