জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কলা ও মানবিকী অনুষদে (সি-ইউনিট) ভর্তিতে বৈশম্যমূলক পদ্ধতি পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা মেধা তালিকা তৈরি না করে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সাথে সম্মিলিতভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার (১১ মার্চ) সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে আদেশের লিখিত কপি এখনো আমরা হাতে পাইনি। যেহেতু এই সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে তাই পরবর্তী সেশন থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী কোন আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অফিস আদেশ হাতে আসলে তারা এ বিষয়ে চিন্তা করবেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এখানো হাইকোর্ট প্রকাশ করেনি। তা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তবে মৌখিক আদেশে বলা হয়েছে, ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পরিপন্থি।
এ বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭নং ধারা 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা' এর পরিপন্থি। এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের থেকে খারাপ ফলাফলধারী কলেজ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ফলে মেধার অবমূল্যায়নও হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, হাইকোর্টের এরকম একটি আদেশের কথা শুনেছি। তবে আদেশের লিখিত কপি এখনো পাইনি। লিখিত কপি হাতে আসলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে গত বছরের ২০ অক্টোবর উকিল নোটিশ প্রদান করে তিন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী (সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. নওসাজ্জামান ও রাকিব হোসেন)। উকিল নোটিশের জবাব না দেয়ায় ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।