ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা এবং ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচটি প্যানেল। দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণার জন্য তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট প্যানেলের ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লিটন নন্দী।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
দাবি বাস্তবায়নে বুধবার (১৩ মার্চ) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া দাবির বিষয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন এবং উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
লিটন নন্দী বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়নে আগামীকাল দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করবো। আমরা পাঁচটি প্যানেলের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলোর ঘোষণা করছি। যেহেতু দুপুরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ফলে প্রত্যাহারের ঘোষণা বহাল থাকবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসে আমাদের সঙ্গে যোগদান করুক।’
এর আগে, বিকালে টিএসসিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রেজওয়ানুল হক শোভন নুরুল হক নুরকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। তার এ কথায় সহমত পোষণ করে ভিপি নুরও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
প্রতিক্রিয়ায় লিটন নন্দী বলেন, ‘নুরুল হক নুর যে বক্তব্য দিয়েছে এটা কোটা আন্দোলনের প্যানেলের বক্তব্য। এটা আমাদের অন্যান্য প্যানেলের বক্তব্য না। আমরা পুনর্নির্বাচনের তফসিলের দাবিতে আন্দোলনে ছিলাম, এখনও আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে নুরের কথা হয়েছে। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রলীগ স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য করেছে। এই বক্তব্য তার না। তারপরও আমরা তার সঙ্গে চারটি প্যানেলের নেতারা বসে বৈঠক করবো। সে যদি আমাদের সঙ্গে একমত না হয়, তাহলে আমরা চারটি প্যানেল পৃথক আন্দোলন কর্মসূচি দেবো।’