Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আজানের সময়ে নারীদের সিটি বাজানোসহ শোরগোল, চটেছেন এরদোগান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯, ১০:২২ PM
আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯, ১০:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আজান ও তুর্কি সংস্কৃতিবিরোধীদের হাতে দেশ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে টিয়ার গ্যাস ও কুকুর লেলিয়ে দিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইস্তাম্বুলের প্রধান সড়ক ইস্তিকাল অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশমুখে সমবেত ওই নারীদের কর্মসূচিটি ‘স্বাভাবিক’ ছিল না বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর আল আরাবিয়াহ।

রোববার আদানা প্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এরদোগান বলেন, রিপাবলিকান পিপলস পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু নারী সদস্য তাকসিম পয়েন্টে সমাবেত হয়েছিল। তারা আজানের সময়ে মুখ দিয়ে সিটি বাজানোসহ ব্যাপক শোরগোল করেছিল তারা। তাছাড়া বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগানও দিয়েছিল তারা।

শুক্রবারের ওই নারী সমাবেশের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রেসিডেন্ট এরদোগান সমাবেশে প্রদর্শন করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে সমাবেশে নারীরা উচ্চ আওয়াজে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে, পাশেই একটি মসজিদে আজান চলছে।

এ সময় রিপাবলিকান পিপলস পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টিকে আজান ও তুরস্কের সংস্কৃতিবিরোধী বলে অবিহিত করে এরদোগান বলেন, ‘যারা আজানকে সম্মান জানায় না এবং তুর্কি সংস্কৃতিও চর্চা করে না তারা কীভাবে দেশকে সম্মান জানাবে। তাদের হাতে এ দেশের সভ্যতা সংস্কৃতি নিরাপদ নয়।’

এরদোগানের এমন বক্তেব্যর প্রেক্ষিতে ওই র‌্যালিতে অংশ নেয়া নারীরা টুইটারে লিখেছেন, সিটি বাজিয়ে আনন্দোল্লাস করাটা তাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে ছিল না। র‌্যালিতে লোকসমাগম বেশি হওয়ায় এমনিতেই অনেকে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। যা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আয়োজকদের ছিল না।

গত শুক্রবার নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিটি পুলিশ প্রথমে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংসতায় মোড় নেয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। এরপর সমবেতদের তাড়িয়ে দিতে তাদের পেছনে কুকুর লেলিয়ে দেয়া হয়। এতে ভয় পেয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেক নারীরা আশপাশে ছুটে পালায়।

এ সময় অনেক নারী স্লোগান দেয়, 'আমরা শান্ত হব না, আমরা ভীত নই।'

তুরস্কে বড় ধরনের কোনো সভা সমাবেশের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি করা হয়। বিশেষত ২০১৬ সালে এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়।

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রচারণায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Bootstrap Image Preview