ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রী ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্যার আ.ফ রহমান হলে ছাত্রদলের প্রার্থীদের প্রবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র দলের জি এস প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান খন্দকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন প্রার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। গেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোটা প্রশাসনের হওয়ার কথা থাকলেও আমরা দেখছি পুরো নির্বাচনের পরিবেশ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে যাদের দায়িত্বে থাকার কথা তারা নেই। দলীয় লোকজন প্রবেশের সময় চেক করছে।
তবে ছাত্রদলের অভিযোগকে গুজব বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই আছেন। লাইনে সবাই দাঁড়াতে পারবেন। লাইনে যারা দাঁড়াবে তারাই ভোটের সিরিয়ালে যাবে। যারা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, যাদের ভোটার নাই, তাদের এসব অভিযোগ বাংলাদেশে সারাজীবন গুজব বলেই চলে আসছে।’
এ বিষয়ে হল সহ-সভাপতি হারুন রশীদ বলেন, সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। আর তাদের পক্ষ থেকে কারো উপরে কোনো চাপ বা পেশার প্রয়োগ করা হচ্ছে না।
এসময় নুরুল আমিন নামের ২য় বর্ষের ছাত্র (৩১২ রুম) জানান, ভোট দিতে কোনো সমসা হচ্ছে না এবং একটা ভোট দিতে ৭ মিনিট সময় লাগচ্ছে।
এবিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান জানান, ২৮ বছর পরে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে। তাই একটা ভীতি কাজ করছে। তাই একটু ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। কিন্তু ১০০% ভাগ সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়বেন ২২৯ জন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩ জন। এ ছাড়া, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ৮৬ প্রার্থী।