জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগমের তৃতীয় সন্তানটির মারা গেছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) শামীমার সদ্যোজাত ছেলেটি নিউমোনিয়ায় ভুগে মারা গেছে। তার বয়স ছিল মাত্র তিন সপ্তাহ।
জানা যায়,শুক্রবার সকালে শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে স্থানীও এক ডাক্তারকে দেখান শামীমা। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, খবরটি সত্য কি না তা আমি একেবারেই জানি না। তবে আমি বলব, এটা দুঃখজনক। এমন অনেক নিষ্পাপ শিশুই হয়ত আছে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে জন্ম নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেলা ওইসব শিশুর জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। কারো জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া যে কতটা বিপজ্জনক এ ঘটনাই তার সাক্ষী।’
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, যেকোনো শিশুর মৃত্যুই করুণ এবং তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত বেদনার। সরকার সিরিয়ায় যাওয়ার বিরুদ্ধে অবিরতভাবে উপদেশ দিয়ে আসছে। যদি কেউ সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে কিংবা মারাত্মক বিপদসংকুল অঞ্চলে যায় তাহলে তা বন্ধে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।
এদিকে,সম্প্রতি শামীমা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য আকুতি জানান। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাকে ফেরত আসতে বাঁধা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে তার দেশে ফেরা বন্ধে সমস্ত চেষ্টা শুরু হয়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ঘোষণা দেন শামীমার দেশের ফেরত আসা ঠেকাতে তিনি তার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য,২০১৫ সালে শামীমা তার আরও দুই বান্ধবীসহ লন্ডনের ব্রেথনাল ইস্কুল থেকে পালিয়ে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের ডাচ বংশোদ্ভূত ‘যোদ্ধা’ ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন। শামীমার এর আগ্রে দুটি বাচ্চা হয়েছিল। সেগুলোও অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছে।