Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতের সেনাসদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল জঙ্গিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০১৯, ১০:২৭ AM
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ১০:২৭ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের বাদগাম জেলা থেকে জঙ্গিরা এক ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। মোহাম্মদ ইয়াসিন ভাট নামের ওই সেনা সদস্য ছুটিতে নিজের বাড়িতে এসেছিলো।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধেবেলা অপহরণের শিকার হন সেনা সদস্য ইয়াসিন ভাট। খবর- এনডিটিভি।

সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি থেকে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মিরের বাদগাম জেলা থেকে জঙ্গিরা এক সেনাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। মোহাম্মদ ইয়াসিন ভাট নামের ওই ব্যক্তি ছুটিতে নিজের বাড়িতে এসে শুক্রবার সন্ধেবেলা অপহরণের শিকার হন। সেনাসূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে, অপহৃত সেনার খোঁজে এরইমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এরআগেও কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জঙ্গিরা।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যকাশ্মিরের পুনওয়ামাতে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ওপর জইশ-ই-মোহাম্মদের স্বঘোষিত আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হলে জঙ্গিবিরোধী দম অভিযানে আরও কঠোরতা আনে দিল্লি। তবে তাতে কোনও সফলতা আসেনি। 

বিশ্লেষকরা যদিও মনে করেন, সামরিক বলপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে ভারত কাশ্মির সংকটের সমাধান করতে পারবে না, তবু ক্রমশ সামরিক তৎপরতায় কঠোরতা এনেই বিবাদমান সমস্যার সমাধান করতে চাইছে দিল্লি। এই দমন অভিযানে হামলা বন্ধ হওয়ার বদলে বরং জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবারও জম্মুর একটি জনাকীর্ণ বাসস্ট্যান্ড আক্রান্ত হয়েছে বাসের নিচে পেতে রাখা জঙ্গি-বোমায়।  সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সেনাসদস্য অপহরণের কবলে পড়লেন। 

এনডিটিভি জানিয়েছে,  মোহাম্মদ ইয়াসিন ভাটের বাড়ি বাদগামের কাজিপোরা চাদুরাতে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রাইফেলম্যান হিসাবে কর্মরত তিনি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক মাসের ছুটিতে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। শুক্রবার সন্ধেবেলা আচমকা বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। সেনা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই জওয়ানের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক রাইফেলম্যান ঔরঙ্গজেবকে পুলওয়ামা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাকে। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর দুই পুলিশকর্মী এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ানকেও একইভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।

Bootstrap Image Preview