Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতের ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণেও অক্ষত মাদ্রাসাগুলো

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৫:০১ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৫:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাকিস্তানের বালাকোটের কাছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করে ভারত। ভারতের হামলার পরেও সেখানে জইশ পরিচালিত মাদ্রাসা ভবনগুলো এখনও অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

উচ্চ রেজ্যুলিউশনের উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত ৪ মার্চ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের বালাকোটের ওই মাদ্রাসার খুব কাছ থেকে তোলা হয় উপগ্রহের চিত্র।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওই হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো স্যাটেলাইট ছবি পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্ল্যানেট ল্যাবের ওই ছবিগুলোতে (যেগুলো ৭২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ছোট জিনিসও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে)ভারত সরকার যেখানে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে সেখানে পরিষ্কারভাবে ওই কাঠামোগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে ২০১৮ সালের এপ্রিলে গ্রহণ করা স্যাটেলাইট ছবিগুলোর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ভবনগুলোর ছাদে দৃষ্টিগোচর হওয়ার মতো কোনো ছিদ্র নেই, দাহ্য পদার্থের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, বিস্ফোরণের ধাক্কায় উড়ে যাওয়া কোনো দেয়াল নেই, মাদ্রাসার আশপাশে উপড়ে পড়া কোনো গাছ নেই এমনকি বিমান হামলার অন্য কোনো চিহ্নই নেই।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট অপারেটর প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেটের সরবরাহ করা ছবিগুলোতে ভারতের বোমা হামলার ছয় দিন পর ৪ মার্চ ওই মাদ্রাসার স্থানটিতে অন্তত ছয়টি ভবন দেখা গেছে।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ছবিতে যা দেখা গেছে এবং এসব ছবি তাদের সরকারি বিবৃতিকে দুর্বল করে দেবে কি না সে বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলে প্রশ্ন করা হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি।

অপরদিকে জইশ-ই-মুহাম্মদের ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০০ জন জঙ্গি হত্যা করেছে বলে দাবি করে আসছে ভারত। গত আট দিন ধরে তারা দাবি করে আসছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতের ওই বিমান হামলায় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহর ও জাবা গ্রামের কাছে ওই মাদ্রাসাস্থলের সব লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে।

সম্প্রতি এই ছবিগুলো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবির বিষয়ে আরও সন্দেহ তৈরি করেছে।

Bootstrap Image Preview