পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ভারতের যুদ্ধবিমানের আটক পাইলট অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু দেশে ফিরেই কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে পাঞ্জাবের ওয়াঘা-আত্তারি সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে ওয়াখা সীমান্তে ভিড় করেন শত শত মানুষ।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দীদের শরীরে অনেক সময় মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় শত্রুপক্ষ। অভিনন্দনের শরীরে সে রকম কোনো চিপ বসানো হয়েছে কি-না তা স্ক্যান করে দেখবে ভারত।
পাইলট অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের মতো শত্রুভাবাপন্ন দেশের হেফাজত থেকে ফিরেছেন। ফলে দফায় দফায় জেরার মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাকে। বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে যদিও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে অভিনন্দন কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তার ইঙ্গিত মিলেছে। ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার সাথে সাথে তাকে সরাসরি বিমানবাহিনীর গোয়েন্দাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশকিছু ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় অভিনন্দনকে।
এ ছাড়া মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে। বন্দি থাকা অবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য হাতাতে শত্রুপক্ষ তাকে অত্যাচার করেছে কি-না তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাকিস্তানে কোনো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি-না তাও দেখা হবে। অভিনন্দনকে জেরা করতে আনা হতে পারে ইন্টোলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) কর্মকর্তাদেরও।