কাতার বিশ্বকাপ ৪৮ দেশের হবে কিনা তা জানতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বৈরিতা এর মূলে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিফা সভাপতি।
ফিফা সভাপতি ইনফ্যান্তিনো রোমের একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ যে ৪৮টা দলকে নিয়ে হবে, তা আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জুন মাসের আগেই জানিয়ে দেবে ফিফা। যেহেতু জুন মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বের খেলা।
কিন্তু ২০২২-এ সেই চেষ্টা করব না কেন?' এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন পুরো ব্যাপারটাকে নিয়ে খতিয়ে দেখছি। সমস্যাটা হয়েছে কাতারের মতো ছোট দেশ। যেখানে ৪৮টা দলকে নিয়ে সত্যিই বিশ্বকাপ করা কঠিন। ভৌগোলিক দিক দিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কাতার খুব ছোট দেশ। যেখানে অতিরিক্ত ১৬টা দলকে রাখা বা তাদের ফ্যানদের জায়গা দেওয়া সহজ কথা নয়। সেইজন্যই পুরো বিষয়টা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে। সেইজন্য আমরা চেষ্টা করছি, যদি পার্শ্ববর্তী দেশে সামনের বিশ্বকাপের কিছু খেলা ছড়িয়ে দেওয়া যায় কি না।'
কাতারের পার্শ্ববর্তী দেশ বলতে বোঝায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও বাহরিন। মজার ঘটনা হল, কাতারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। তাই কাতারও যেমন চাইবে না তাদের বিশ্বকাপের কিছু খেলা পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাক। পাশাপাশি বাহরিন, আমিরশাহিরাও চাইবে না কিছু ম্যাচ নিজেদের দেশে করতে। ইনফ্যান্তিনো তাই বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি সত্যিই খুব জটিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাহলে কোনওকিছুই অসম্ভব বলে মনে করি না। আসলে আমাকে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা নিতে হবে কাতারের মতামত।'