সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং শীর্ষ উপদেষ্টা জারেড কুশনার।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহতের পর জারেড কুশনারের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রিয়াদে বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানই ছিল এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে এই অঞ্চলের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর তাদের মধ্যে এটি মুখোমুখি প্রথম বৈঠক।
এদিকে কথিত আছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও জারেড কুশনার একে অন্যের আত্মার আত্মীয়। তাদের মধ্যে দহরম-মহরম সম্পর্ক।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে উভয়ের নিজ নিজ স্বার্থই তাদের খুব দ্রুতই ঘনিষ্ঠ হতে সহায়তা করেছে।
স্বাভাবিকভাবে প্রথম থেকেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিষয়ে আগ্রহী ইহুদি ধর্মাবলম্বী কুশনার। রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের হাত শক্তিশালী করা তার অন্যতম মিশন।
অন্যদিকে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সৌদির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের প্রভাব খর্ব করে সৌদির একাধিপত্য কায়েম করাই যুবরাজের উদ্দেশ্য।
নিজ নিজ স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্রনীতির সব নিয়মবিধি ভেঙে একে অপরের ‘প্রাণের দোস্ত’ হয়ে উঠেছেন তারা।
কিন্তু তাদের এই দোস্তি মধ্যপ্রাচ্যে এতটুকু শান্তি বয়ে আনেনি। এনেছে ধ্বংস, হত্যা আর দুর্ভিক্ষ। তাদের বন্ধুত্বেই আজ ছারখার এ অঞ্চলের এই দুটি দেশ। ইসরাইলের হাতে ধ্বংসের প্রান্তে ফিলিস্তিন আর সৌদি জোটের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্রতম দেশ ইয়েমেন।
৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে খেলছে ইসরাইল। ধর্মের অধিকার, ভূমির অধিকারসহ প্রত্যেকটি অধিকারই কেড়ে নিয়েছে। সর্বাধুনিক অস্ত্র দিয়ে জীবনগুলোও কেড়ে নিচ্ছে।