Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুদ্ধের মধ্যেই ভারতকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলেন ইমরান খান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview


উপমহাদেশে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাক-ভারত উত্তেজনার মাঝেই ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

বুধবার দুপুরে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ভারতকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান বলেন, ভারত যদি এখানে আসতে পারে, তবে আমরাও তাদের ওখানে যেতে পারব। সব যুদ্ধ নিয়েই ভুল হিসাব করা হয়। কেউ জানে, তারা কোথায় যাচ্ছেন।

পুরো ভুল হিসেব-নিকেশের ফল হলো যুদ্ধ বলে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, শুভবুদ্ধির উদয় হবে ভারতের।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের উভয় দেশের হাতেই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। সুতরাং আমাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের মদদ দেয় না উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ভারত নিজেরাই বিচারক, জুরি আর জল্লাদের ভূমিকা নিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে আমরা তদন্ত করতে চাই। পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা হলে তাতে আমাদের স্বার্থ নেই।

তিনি বলেন, যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে ভারত হামলা চালায়, আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করছিলাম। আমরা তখই সাড়া দিতে চাইনি। তারা যে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।

এর আগে ভারতীয় হামলার ঘটনায় দ্বিধাহীনভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। রেডিও পাকিস্তানের বরাতে ডন অনলাইনের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরাইশির সঙ্গে এক ফোনালাপে একই সহানুভূতির কথা জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ জাইশ আওগালু (মেভলুত চাভুসওগ্লু)।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবুধাবিতে ওআইসির আসন্ন বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হলে তার বিরোধিতা করবে তুরস্ক।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও তাকে ফোন করে বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান পাক-ভারত উত্তেজনার মাঝে আকাশসীমায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।

এতে বলা হয়েছে, আকাশসীমায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএ)। দেশের সব বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট আপাতত স্থগিত থাকবে। সিএএর এই নির্দেশনার পর দেশটির লাহোর বিমানবন্দর, ইসলামাবাদ বিমানবন্দর ও ফয়সালাবাদ বিমানবন্দর থেকে ইতোমধ্যে সব ফ্লাইটের বাতিল করা হয়েছে।

ফ্লাইট রাডারের তথ্য বলছে, পাকিস্তানি এবং ভারতের আকাশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও ট্রানজিট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক কিছু ফ্লাইটকে উড্ডয়নকারী দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ফ্লাইট বিকল্প পথ ব্যবহার করছে।

Bootstrap Image Preview