ভারতের হামলার পরই বৈঠকে বসেছিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। সেখান থেকে দিল্লিকে হুমকিও দিয়েছে ইসলামাবাদ। বলেছে নিজেদের সময় মতো ভারতকে ‘চমক’ দেবে।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশন। এরপরই ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই মধ্যে ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই কমিটির হাতেই আছে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরেশি জানান, বুধবার পাকিস্তান পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশন। এরপরই ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের বিমান হামলার কথা অস্বীকার করলেও পাকিস্তান বলছে, ভারত যা করেছে তার জবাব দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় জাতিসংঘেও বিষয়টি জানাবে পাকিস্তান।
পাক সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা ভারতকে চমকে দেব। তার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে এই চমকে দেওয়ার ব্যাপারটা সামরিক এবং রাজনৈতিক- দুভাবেই হবে।
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের এই বৈঠককে ভয় দেখানোর কৌশল হিসেবেই দেখছে দিল্লির প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। ভারতের এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের কাছে আর কোনও উপায় না থাকাতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে এর আগেই পাকিস্তানের পরমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ সাবেক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ। তিনি বলেন, একটি পরমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করলে পাল্টা একই ধরনের ২০টি বোমার সাহায্যে পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দিতে পারে ভারত।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান নিহতের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধংদেহী উত্তেজনা চলছিল। হামলার হুমকি-পাল্টা হুমকির বাগ্যুদ্ধের মধ্যেই মঙ্গলবার ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে হামলা করেছে ভারত।
ভারতের দাবি, এ হামলায় পাকিস্তানের বহু মানুষ নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, তারা এ হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকেই যুদ্ধংদেহী উত্তেজনা আরও চরম আকার ধারণ করে। প্রতিবেশী বৈরী এ দুটি দেশের হাতেই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।