বাংলার রূপের সাথে মিশে আছে এর অপরুপ সৌর্ন্দয ও সংস্কৃতি। আর বসন্ত মানেই তো প্রকৃতির নতুন তারুণ্য। তাই ঋতুরাজকে অর্ভ্যথনা জানাতে চারপাশে সেজেছে বর্ণিল সব সাজসজ্জা ও উৎসবে। তাই তো বছর ঘুরে আবারও ফাগুন এলো সময়ের ধারাবাহিকতায়।
ষড়ঋতুর বাংলায় বসন্তরে রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সন্ধি। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রঙতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন কোন অন্তই থাকে না।
তাই এই বসন্তকে বরণ করতে বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ‘আহা আজি এ বসন্তে এতো ফুল ফুটে এতো বাঁশি বাজে এতো পাখি গায়’এই ব্যানারে রাজশাহী কলজের নজরুল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি নগরীর সোনাদিঘী, সাহেব বাজার, জিরো পয়েন্ট, মণিচত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হবিবুর রহমান।
এ সময় র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আল-ফারুক চৌধুরীসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বাহারি ফুলে সেজেগুজে কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ান তরুণীরা। পরনে শোভা পাচ্ছিল লাল, হলুদ ও বাসন্তি রঙের শাড়ি, মাথায় গোলাপ, গাঁদা ও জিপিসি ফুলের টায়রা, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি। প্রকৃতি যেন সেজেছে নতুন রূপে।সেই সাথে হলুদ পাঞ্জাবীতে সজেছে তরুণেরা। আর এই তরুণ-তরুনীদের পাশা-পাশি হলুদ সাজে মেতেছে কলেজের শিক্ষকরা।
কলেজের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ সাজে নতুন এক অপরূপ সাজে। প্রানিবিদ্যা, বাংলা, ইতিহাস ও পরিসংখ্যান বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগ সাজানো হয় অন্যরকম বাসন্তি সাজে।