Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জগন্নাথে ছাত্রলীগ কর্তৃক অবরুদ্ধ ছাত্রলীগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৭ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সকল প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশ অমান্য করে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জবি শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, দুপুর দেড়টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল তাদের কর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পুরো ক্যাম্পাস মহড়া দেয়। মহড়া শেষে ছাত্রসংসদে অবস্থান করলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা ও শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রহী গ্রুপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতাকর্মীদেরকে ছাত্রসংসদ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে।

কিন্তু তারা বাহির হতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা ছাত্রসংসদের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরীয়াল বডি ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান এর মধ্যস্থতায় ছাত্রসংসদের তালা ভেঙ্গে স্থগিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীদেরকে উদ্ধার করেন। আর বিক্ষোব্ধ নেতাকর্মীকে আশ্বাস প্রদান করেন যে পরবর্তী স্থগিত কমিটির নেতারা আর ছাত্রসংসদে অবস্থান ও ক্যাম্পাসে মহড়া দিবে না। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আশ্বাস পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে ক্যাম্পাসে সব ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সংসদ। কমিটির সদস্যরা হলেন- সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান খান জয়, ইয়াজ আল রিয়াদ। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এমতাবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে জবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম।

জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, আমরা বসন্ত উপলক্ষে ক্যাম্পাসে যেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেছিলাম। এমতাবস্থায় কিছু বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী অরাজগতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাতে আমরা তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়ালে আমাদের কমিটির শাস্তি আরো বেড়ে যায়। তাদের এমন কুচক্রান্ত কখনই সফল হবে না।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মাঝে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোনো হতাহত হয়নি। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview