Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিল বাতিল, ভারতের নাগরিক হতে পারবে না বাংলাদেশি হিন্দুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:১৩ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:০০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বাতিল হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধন বিল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে বিলটি সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিলটি লোকসভায় পাশ করা গেলেও বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতায় তা রাজ্যসভায় উত্থাপনই করা যায় নি।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন ছিল ভারতে নাগরিকত্বে হিন্দু ধর্মালম্বিরা প্রাধান্য পাবেন। কিন্তু সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলে বাতিলের ফলে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশি হিন্দুরাও।

জানা যায়, লোকসভা ভোটের পর শাসক দল চাইলে নিয়ম অনুযায়ী এই বিল পুনরায় নতুনভাবে সংসদে আনতে হবে এবং দুই কক্ষেই পাস করাতে হবে। 

একইভাবে মুসলমান নারীদের বিয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিন তালাক বন্ধ করতে প্রস্তাবিত বিলটিও রাজ্যসভায় পেশ করার সুযোগ হয়নি। যদিও নাগরিকত্ব বিলের মত এই বিলটিও লোকসভায় পাশ করানো হয়েছিল। লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই বিলটিও আইনে পরিণত করতে গেলে নতুন সরকারকে তা আবারো উত্থাপন করতে হবে।

নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্র করে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিক্ষোভে উত্তাল। মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্যে বিল-বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার নেয়। আসামসহ প্রতিটি রাজ্যে বিজেপির শরিকেরা এই বিলের বিরোধিতা করেছে। অনেকেই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাতিল করেছে। বিলটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন প্রশ্ন, লোকসভার ভোটের আগে বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শরিকেরা ফের জোটে ফিরে আসবে কিনা। এই বিল নিয়ে বিরোধ শুরুর আগে বিজেপি মনে করছিল, শরিকদের সঙ্গে জোট বেঁধে এই অঞ্চলের মোট ২৫টি লোকসভার আসনের মধ্যে অন্তত ২২টি তারা জিতে নেবে।

এর আগে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যসভায় রাফাল যুদ্ধবিমান কেনাবেচা সংক্রান্ত সরকারি অডিট রিপোর্ট পেশ করা হয়। ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) তৈরি করা এই প্রতিবেদন অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ হওয়ায় তা নিয়ে আর আলোচনার কোন সুযোগ রইল না। সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, কংগ্রেস আমলের খসড়া চুক্তির তুলনায় বিজেপি শাসনের এই চুক্তি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ সস্তা।

এই দাবি করা হলেও বিমানপ্রতি দাম কত পড়ছে এবং কোন খাতে কত ব্যয় হয়েছে, সিএজি রিপোর্টে তার কোনো উল্লেখ নেই। কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দল এই প্রতিবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কারণ, সিএজি রিপোর্ট যিনি তৈরি করেছেন সেই রাজীব মেহর্ষিই ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব যখন রাফাল চুক্তি সই হয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, দুর্নীতির শরিক ছিলেন যিনি, তার তৈরি প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।

এদিকে, বুধবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিএজি প্রতিবেদনে তথ্য গোপনের বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই প্রতিবেদন প্রমাণ করছে, সংসদে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী অসত্য বলেছেন। কারণ তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৯ থেকে ২০ শতাংশ অর্থ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, ‘রাফাল নিয়ে মুখোমুখি বসুন। আপনি আপনার তথ্য দিন, আমরা আমাদের তথ্য দেব। দেশবাসী বিচার করবে, কে ঠিক কে ভুল।’

Bootstrap Image Preview