আল্লাহ তার বান্দাকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুগেযুগে অনেক নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তেমনি আমদের প্রিয়নবি (সা.) মানুষের মুক্তির জন্য সত্যগ্রন্থ কুরআনুল কারিমসহ রহমতস্বরূপ এ দুনিয়াতে এসেছেন। মানুষকে শান্তির বাণী শুনিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন অনেক দিক-নির্দেশনা। যারা রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে, তাদের জন্য রয়েছে চির কল্যাণ ও মুক্তি।
রাসুল (সা.) মুসলিম উম্মাহকে ৬টি দায়িত্ব গ্রহণ সাপেক্ষে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। কী সেই দায়িত্ব? যারা প্রিয়নবি ঘোষিত ৬টি দায়িত্ব সুসম্পন্ন করবেন, তিনি তাদের জন্য সুনিশ্চিত জান্নাতের ব্যবস্থা করবেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে আমার জন্য ৬টি বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করো, আমিও তোমাদের জান্নাতের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব গ্রহণ করবো। সে ৬টি বিষয় হলো-
১. যখন তোমরা কথা বলবে সত্য বলবে।
২. যখন ওয়াদা করবে, অবশ্যই তা পূরণ করবে।
৩. যখন আমানত রাখবে, অবশ্যই তা খেয়ানত করবে না।
৪. তোমাদের লজ্জাস্থানের পবিত্রতা অবশ্যই রক্ষা করবে।
৫. তোমাদের দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং
৬. তোমাদের হাত সব ধরণের ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখবে।’ (বায়হাকি)
প্রিয় রাসুল (সা.) ঘোষিত উল্লেখিত কাজগুলো দ্বীনের ছোট ছোট নসিহত। ইচ্ছা করলেই যে কেউ এ নসিহত অনুযায়ী জীবন সাজাতে পারে। বিনিময়ে লাভ করতে পারে পরকালের সীমাহীন জীবনের সফলতা।