যে কাজের কারণে মানুষ ৪০বার ক্ষমা পায়

প্রত্যেক মুসলমানের মৃত্যুর পর গোসল দেয়া ফরজে কেফায়া। অনেকের মধ্য থেকে যে কেউ গোসল দিয়ে দিলেই তা সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর মৃতব্যক্তি যদি নিখোঁজ কোনো ব্যক্তি হয় তবে তার গোসলের দেয়ার দায়িত্ব সার্বিকভাবে সব মুসলমানের উপরে এসে দাঁড়ায়।

মৃতব্যক্তিকে গোসল করাবে কে বা কারা? 
মৃতব্যক্তিকে গোসল করানো ব্যক্তির জন্য শর্তই বা কী? 
মৃতব্যক্তিকে গোসল করালে সাওয়াবই বা কী? এ সম্পর্কে ইসলামের রয়েছে কিছু দিক নির্দেশনা।

অনেকেই মৃতব্যক্তিকে গোসল দিতে ভয় পায়। অথচ মৃতব্যক্তিকে গোসল করালে অনেক ফজিলত লাভ হয়। এই বিষয় প্রিয়নবি 
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির দোষ ত্রুটি প্রকাশ করবে না এবং তাকে গোসল দিবে আল্লাহ তাআলা তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করে দেন।’

মৃতব্যক্তির গোসল সম্পর্কে কিছু দিক-নির্দেশনা রয়েছে। মৃতব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা গোসল করাতে পারবে, তারা হলো-

১. গোসলের সুন্নাত সম্পর্কে বেশি জানা ব্যক্তিই মৃতব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গোসল দেবে। 
২. মৃত ব্যক্তি যদি কোনো ব্যক্তির অসিয়ত করে যায় তবে সেই বেশি হকদার।
৩. অসিয়ত না থাকলে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়রাই বেশি হকদার।
৪. রক্তের সম্পর্কে আত্মীয় অপারগ হলে নিকটাত্মীয়-স্বজন গোসল দেবে। এভাবে ধারাবাহিকতায় যারা আগে আসবে তারাই মৃতব্যক্তির গোসল দেবে।
৫. তারপর মৃতব্যক্তির মায়ের পক্ষের আত্মীয়-স্বজন।
৬. মৃতব্যক্তি নারী হলে তার অসিয়তকৃত নারীই তাকে গোসল দেবে। অসিয়ত না থাকলে পুরুষের মতো ধারাবাহিকভাবে নারীরা গোসল দেবে।

মৃতব্যক্তিকে গোসল দেয়ার মাধ্যমে ৪০বার ক্ষমা লাভ করার অন্যতম শর্ত হলো-

১. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মৃতব্যক্তিকে গোসল দেয়া।
২. মৃতব্যক্তির শারীরিক যে কোনো দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা।
৩. খারাপ-ভালো যা কিছুই দেখবে তা মানুষের কাছে না বলা।

মুসলমানদের জন্য মৃতব্যক্তির গোসলে ভয় নয় বরং সাহস করে মৃতব্যক্তি গোসল দেয়া অনেক উত্তম কাজ। কারণ মৃতব্যক্তিকে যে ব্যক্তি গোসল দেয় প্রিয়নবির ঘোষণায় সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা ৪০বার ক্ষমা করে দেন। মৃতব্যক্তির গোসল দানকারীর জন্য এর চেয়ে বড় সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে!