জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুল। এ যেন ঋতুরাজ বসন্তের আগমন বার্তা।এদিকে কৃষিবিদ ও আম চাষীরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের ভাল ফলন হবে। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই গাছে পরিচর্যা করছেন তারা। গাছে গাছে বালাইনাশক স্প্রে করার দৃশ্য চোখে পড়ছে।
উপজেলার প্রতিটি এলাকাজুড়ে এখন সর্বত্র গাছে গাছে শুধু আমের মুকুল আর মুকুল। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম যেন প্রতিটি আমগাছ। সেই সুবাদে মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা, উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ না হলেও প্রাথমিকভাবে এবছর ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টরের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। বাগানে আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, মোহনা, ল্যাংড়া, রাজভোগও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ছোট ছোট পরিত্যক্ত এবং বাড়ীর আশেপাশের জায়গাগুলোতে অনেক গাছ রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গাছে মুকুল আসতে শুরুও করেছে। আগামী ফাল্গুন মাসের ১ম সপ্তাহ নাগাদ মুকুলে ছেঁয়ে যাবে প্রতিটি আম গাছ। এ উপজেলার উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা পুরনের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমচাষীরা জানান, এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব গাছে মুকুল আসবে। প্রতি বছরই তারা আম গাছ থেকে অনেক টাকা আয় করে থাকেন। এছাড়াও অনেকেই আমের বাগান করেছেন তারাও প্রতিবছর আম থেকে অনেক টাকা আয় করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আম চাষীদের আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফল চাষে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভাল হবে আশা করছেন তিনি।